কেনেডি পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীর
<![CDATA[
একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর প্রয়াত এডওয়ার্ড টেড কেনেডির পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন,
কেনেডি পরিবারের সুদৃঢ় অবস্থান মুক্তিকামী বাঙালিকে সাহস যুগিয়েছিলো।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে কেনেডি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক নৈশভোজে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন সিনেটর প্রয়াত এডওয়ার্ড টেড কেনেডির ছেলে এডওয়ার্ড টেড কেনেডি জুনিয়র সপরিবারে ঢাকায় আসেন। গত শনিবার তারা ঢাকায় এসে পৌঁছান।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে এডওয়ার্ড টেড কেনেডি জুনিয়র ও তার পরিবারের সম্মানে নৈশভোজ আয়োজন করা হয়। নৈশভোজে সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেনেডি পরিবারের হাতে তুলে দেন সম্মাননা ও বঙ্গবন্ধুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় কেনেডির সঙ্গে তোলা ছবি।
সম্মাননা পেয়ে আপ্লুত এডওয়ার্ড টেড কেনেডি জুনিয়র বলেন, একাত্তরে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে নিক্সন-কিসিঞ্জারের নেতৃত্বে মার্কিন প্রশাসন যখন গণহত্যাকারীর পক্ষে নগ্ন অবস্থান নিয়েছিলো, তখন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কেনেডি ছিলেন মানবতা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে।
আরও পড়ুন: ‘একাত্তরে কিছু মার্কিন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন’
অনুষ্ঠানে একাত্তরের এডওয়ার্ড এম কেনেডির ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, কেনেডির অবস্থান একাত্তরে সাহস যুগিয়েছিলো মুক্তিকামী বাঙালিকে। তিনি ’৭১- এ রিফিউজি ক্যাম্প ঘুরে ঘুরে দেখেছিলেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এবং তখনই তিনি পদক্ষেপ নেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি ফিরে গিয়ে সিনেটে এ বিষয়ে কথা তোলেন এবং আমেরিকা যে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে, তাদেরকে অস্ত্র দিচ্ছে, অর্থ দিচ্ছে তার বিরোধীতা করেন। তিনি দ্বার্থহীন কণ্ঠে বলেন, ‘মুক্তিকামী বাঙালিদের পাশে আমেরিকার থাকা উচিত। তাদের মানবাধিকারের জন্য থাকা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেনেডি পরিবারকে সম্মাননা জানাতে পেরে বাঙালি গর্বিত। পরে কেনেডি পরিবারের সঙ্গে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
]]>




