কোরিয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
<![CDATA[
দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন ট্রাজেডির পর দেশটির পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই পুলিশকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সময় মতো সাড়া দেয়নি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে ১৫৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির পুলিশ প্রধান ইয়ুন-হে-কিওন। ঘটনার চারদিন পর মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে মাথা নত করে ক্ষমা চান পুলিশ প্রধান।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে ৪৭৫ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ। ইয়ুন-হে-কিওন বলেন, এ ঘটনায় তার ‘গভীর দায়’ অনুভব হচ্ছে। ঘটনার রাতের ওই আয়োজনে দর্শক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ‘অপ্রতুল’ ছিল বলেও স্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম কিনছে পাকিস্তান
ইয়ুন-হে-কিওন নিশ্চিত করেন দুর্ঘটনার আগে জরুরি হটলাইনে বেশ কয়েকবার ফোন এসেছিল। তারপরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশদের ব্যবস্থাপনা পর্যাপ্ত ছিল না। এই অবস্থায় পদত্যাগ করবেন কি না- এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি তিনি।
রাজধানী সিউলের ইটেওয়ান এলাকা পার্টি করার জন্য পরিচিত। সেখানেই গত শনিবার রাতে হ্যালোইন উৎসবের আয়োজন করা হয়। ইটেওয়ানের ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎসবের আগে তারা স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
কিন্তু উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরিবর্তে পুলিশ মাদক ও যৌনবিষয়ক অপরাধ এবং কোভিড নিয়ে বেশি মনোযোগী ছিল বলে অভিযোগ তাদের। প্রায় এক লাখ অংশগ্রহণকারীর উৎসবে মাত্র ১৩৭ জন পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন /মানবাধিকারে ভ্রুক্ষেপ নেই মিয়ানমারের
বিবিসি জানায়, পদদলনের ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টা আগেই শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিটে ইটেওয়ান থেকে পুলিশের কাছে প্রথম ফোন করা হয়। ফোন করে এক ব্যক্তি পুলিশকে ইটেওয়ানের পরিস্থিতির কথা জানান। ইটেওয়ানের হ্যামিলটন হোটেলের পরের গলিতে ভিড় ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
সিউলের পুলিশ কর্মকর্তা ওহ সেউং-জিন সোমবার স্বীকার করেন, কোনো নির্দিষ্ট আয়োজক নেই, এমন কোনো আয়োজনে অনেক দর্শক হলে তা কীভাবে সামলাতে হবে, সে ব্যাপারে কোনো ম্যানুয়াল কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না। তিনি স্বীকার করেন, পুলিশ সেই রাতে অন্যান্য অপরাধ দমনে বেশি মনোযোগী ছিল।
]]>




