ক্যাম্পাসে নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিতসহ ৪ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি
<![CDATA[
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর হল ও ক্যাম্পাসে নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের’ পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ছাড়াও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত সূচি প্রকাশ
স্মারকলিপিতে তারা হল ও ক্যাম্পাসে নিরাপদ সহাবস্থান নিশ্চিত করা, যে বা যারা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন ও মতামত প্রকাশে বাধার সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত হামলাগুলোর যথাযথ বিচার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক চর্চা ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-ক্রীড়াচর্চার জন্য নিয়মিতভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের পক্ষে লেখক ও শিক্ষা আন্দোলনকর্মী রাখাল রাহা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চার দাবিতে আমরা ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছি, তিনি গ্রহণ করেছেন। আমাদেরকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন স্মারকলিপিতে উল্লিখিত দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করবেন। আমরা বলেছি, যেসব শিক্ষার্থী মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আছে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা, তাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে। তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিভাবকদের যে দাবি এবং আমাদের যে বক্তব্য, এর মধ্যে খুব বেশি অমিল নেই। গণতান্ত্রিক মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তাদের কথাগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমরা যেন সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করি এবং একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখি। আমাদের সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলোও ওনারা বুঝতে পেরেছেন।’
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে দেশের ৫ বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তরিক প্রয়াসে এবং সবার সহযোগিতায় আগের তুলনায় ক্যাম্পাসে এখন ভালো সহাবস্থান বিরাজ করছে। কখনো কখনো দু-একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, সেটাও যাতে এড়ানো যায়, সে জন্য সবাই যেন দায়িত্বশীল আচরণ করে। ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে কেউ জড়িত থাকলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি এবং এর বাইরে রাষ্ট্রীয় আইনেও আমাদের কোনো শিক্ষার্থী অসুবিধায় পড়লে তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। সে যে দল-মতের হোক না কেন, আমাদের কাছে তার প্রথম পরিচয় ছাত্র এবং আমরা শিক্ষক।’
]]>