খুলনায় এবার আওয়ামী লীগের সমাবেশ
<![CDATA[
দেশব্যাপী বিএনপির রাজনৈতিক সমাবেশের মধ্যেই এবার খুলনায় বড় দুটি সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির সমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এ সমাবেশ–রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটা বললেও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রস্তুতি, অন্য রাজনৈতিক দলের ভাঙচুর ও উসকানিমূলক বক্তব্যের জবাব দিতেই এ সমাবেশ।
আগামী ৪ নভেম্বর নগরীর দৌলতপুরে এবং ১ ডিসেম্বর হাদিস পার্কে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
জানা গেছে, মাসব্যাপী খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকতে এ দুটি সমাবেশ বাদেও আরও বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ২ নভেম্বর সদর থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, ৫ নভেম্বর সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, ১১ নভেম্বর খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, ১২ নভেম্বর খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করবে আ. লীগ
বর্ধিত সভায় দলকে সংগঠিত করার ওপরই বেশি জোর দেয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময়ই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন, এ নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি দরকার, আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা সভা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রদর্শন করা হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি অপর একটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে সভা-সমাবেশের চেষ্টা করেছে। আমরা রাজনীতির মধ্য দিয়েই রাজনীতিকে মোকাবিলা করতে চাই। আমরা সহিংসতা চাই না। এ কারণে আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত করার জন্যই আমাদের এ সমাবেশ।’
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির গণসমাবেশে দলটির নেতাদের দেয়া বক্তব্য উসকানিমূলক এবং ধৃষ্টতা বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়া সমাবেশে যোগ দেয়ার সময় ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস ও আধুনিক রেলস্টেশন ভাঙচুরের ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ।
এ অবস্থায় ভাঙচুরের ঘটনা আইনিভাবে মোকাবিলার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে কর্মসূচি দেয়ার দাবি জানান দলটির নেতারা।
আরও পড়ুন: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া সরকারকে ‘খেলতে দেয়া’ হবে না: মির্জা ফখরুল
বর্ধিত সভায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সহসভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, শ্যামল সিংহ রায়, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু প্রমুখ।
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ২২ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ খুলনার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাবেশ ঘিরে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়ে দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিল। এমনকি তাদের ভয়ে রিকশা, ইজিবাইকসহ কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এর কারণে খুলনা মহানগরী ও জেলার ব্যবসায়ীদের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। এর দায়ভার বিএনপিকে নিতে হবে।
]]>