বাংলাদেশ

খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন, জানালো রাশিয়া

<![CDATA[

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অধিকৃত খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে দেনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর ও খেরসন শহর থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে রাশিয়ার এ ঘোষণার আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ বলেন, রুশ সেনাদের পুরোপুরি খেরসন ছেড়ে যেতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। একই সঙ্গে ইউক্রেনীয় সেনারা খেরসনের উত্তরাঞ্চলের অনেকখানি এলাকা পুনর্দখল করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে খেরসনে রুশ সেনারা বিপুলসংখ্যক মাইন স্থাপন করেছে দাবি করে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, এগুলো সরাতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছে, খেরসনে মোতায়েন সকল রুশ সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম দেনিপ্রো নদীর পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার সকাল হওয়ার আগেই সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: কয়েক ডজন শহর পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরুর কিছু দিন পরই কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই খেরসন শহরের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছে কিয়েভ বাহিনী।

এ অবস্থায় গত বুধবার (৯ নভেম্বর) সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু কমান্ডার সের্গেই সুরোভিকিনের সঙ্গে এক বৈঠক থেকে এ ঘোষণা দেন। বৈঠকটি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

ঘোষণায় জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেন, খেরসন শহরে রুশ সেনাদের রসদ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় সোয়া লাখ মানুষকে দেনিপ্রো নদীর দক্ষিণ পাশের তীর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘সরিয়ে নেয়ার সময় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সম্ভাব্য সব করেছি। আমি জানি, এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা, তা হলো সৈন্যদের জীবন রক্ষা করা। আর সাধারণভাবে বললে সৈন্য দলের যুদ্ধের সক্ষমতা ধরে রাখা।’

আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয়দের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: অ্যামনেস্টি

ইউক্রেন অভিযানের মধ্যদিয়ে পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লহানস্কের পাশাপাশি ইউক্রেনের বিশাল একটা অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে চারটি অঞ্চলকে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি খেরসন। ওই অঞ্চলের রাজধানী খেরসন শহর। সেনা প্রত্যাহার করলেও অঞ্চলটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকবে বলেই জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা। 

এদিকে এই সেনা প্রত্যাহারের কারণে রাশিয়ার নেতৃত্বের সমালোচনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেনে সেনা নিযুক্তির ঘোষণা দেয়ার ইতিমধ্যে রাশিয়ায় পুতিনের প্রতি সমর্থন কমেছে।

কৌশলগতভাবে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে ইউক্রেন বিজয়ী হলে দেশটি রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করবে। মস্কো ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপটিকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। একই সঙ্গে এ বিজয় ইউক্রেনকে আজভ সাগরে প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেবে, যা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!