খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক
<![CDATA[
সরকারি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। উল্টো আরও বাড়ছে মন্দ ঋণ। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বলছে, করোনা ও অর্থনৈতিক মন্দায় ঋণ আদায় কমেছে।
২০১৩ সালে খেলাপি আদায়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো প্রতি তিন মাস পর পর এ সংক্রান্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছ থেকে অর্থ আদায়ে ব্যর্থ সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক। চলতি বছর এসব ব্যাংকগুলোকে ১ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা অর্থ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে চলতি বছরের ৯ মাসে মাত্র ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা অর্থাৎ ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ আদায় করতে পেরেছে ব্যাংকগুলো।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরবর্তী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ঋণ আদায় বন্ধ ছিল। তবে আগামীতে খেলাপির ঘাটতি কমে আসবে।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুরশেদুল কবীর বলেন, ঋণ খেলাপির হার সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা বাড়লেও, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকবে না। যারা সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পেরেছেন, তাদের বিষয়টি ঠিকই আছে। কিন্তু কেউ কেউ হয়তো টাকা দিতে পারেননি, তবে তার মানে এ নয় যে তারা অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন না। ব্যবসায়ীরা এসব অর্থ ফেরত দিবেন বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: দুই ইসলামি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ
এছাড়া খেলাপি ঋণের হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামাতে পারার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খেলাপির বর্তমান বৃদ্ধির হার কোনোভাবেই আশাব্যঞ্জক নয় মন্তব্য করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ প্রদানে স্বচ্ছতা, ব্যাংকগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি।
অর্থনীতিবিদ মো. তানজিলা হোসেন বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে আমাদের খেলাপি ঋণের অর্থ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এ ছাড়াও অন্য খেলাপির কাছ থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল ২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৭৩৫ কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক।
]]>