বাংলাদেশ

গর্ভাবস্থায় যে ভুলে হবে মা-নবজাতকের ক্ষতি!

<![CDATA[

সমাজে এমন অনেক প্রচলিত ধারণা রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় মেনে চলেন হবু মায়েরা। অথচ এইসব প্রচলিত ধারণা একেবারেই অযৌক্তিক। না জেনে এসব প্রচলিত ধারণা মেনে চলার কারণে মা ও শিশু উভয়েই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই আজকের আয়োজনে এমন কিছু ভুলের কথা জানাবো যেগুলো গর্ভাবস্থায় মেনে না চলাই ভালো বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। চলুন তা একে একে জেনে নিই।

আরও পড়ুন: বিশ্ব খাদ্য দিবস রোববার

হবু মায়েদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি যে ভুল প্রচলিত ধারণাটি রয়েছে তা হলো খেতে হবে দুজনের মাপে। এ ভ্রান্ত ধারণার কারণেই কিন্তু হবু মায়েদের ওজন বেড়ে যায়। যা ডেকে আনে ডায়াবেটিস, প্রেশার ও আরও কিছু জটিল বিপদের শঙ্কা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম তিন মাস গর্ভের শিশুর জন্য বাড়তি খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তিন মাসের পর থেকে বাড়তি খাবার হিসেবে ৩০০ ক্যালোরি বেশি খাবার খেলেই পূরণ হবে হবু শিশুর নিশ্চিত ভবিষ্যত।

ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে আরও যে একটি বিষয় রয়েছে তা হলো সাধারণ সর্দি, জ্বর, ঠাণ্ডার ওষুধ ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়াই খেয়ে ফেলা। আপনার জেনে রাখা দরকার, বিষয়টি অতি সাধারণ মনে হলেও কোমল শিশুর ভ্রুণের জন্য তা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনে।

এসময় অনেক হবু মাই দৈনিক ৮ ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করেন না। দুপুরেও নেন না কোনো ১৫ মিনিটের রেস্ট। অনেকে মনে করেন এই ঘুমের পরিমাণ পুষিয়ে নেয়া যাবে যে কোনো একদিন বেশি ঘুমের মাধ্যমে। মন গড়া এ থিওরি কিন্তু মোটেও সঠিক নয়।

এসময় হবু মায়েদের অনেক রকমের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়। তাই বলে সব পছন্দের খাবার খাওয়ার জন্য মোটেও অস্থির হয়ে উঠবেন না। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময়ই ব্যালেন্স ডায়েটের হিসাবটা মেনে চলতে হবে।

অনেকেই মনে করেন এ সময় হবু মার শুয়ে বসে থাকাটাই ভালো। তবে মানসিক চাপ কমাতে, রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, প্রসবের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করতেও ব্যায়ামের জুড়ি নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হবু মা যত বেশি নড়াচড়া করবেন, গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি তত ভালো হবে এতে। তবে নড়া চড়া বা ব্যায়াম মানে এই নয় যে হবু মাকে খুব ভারী কাজ বা পরিশ্রমের কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন গরম হওয়া ঠেকাতে যা করবেন

তাই সমস্যা এড়াতে প্রচলিত এই ভ্রান্ত ধারণাগুলো এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় কী খাবেন, কী ব্যায়াম করবেন, কী কী নিয়ম মানবেন, সে সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পেতে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত অ্যান্টিনেটাল ক্লাসে অনেকেই অংশ নিতে পারেন। এইসব ক্লাশে বিশেষজ্ঞরা শিশুর সুস্থতা আর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও পদ্ধতি শিখিয়ে থাকেন হবু মাকে।

সূত্র: আনন্দবাজার 
 

 

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!