গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ আনোয়ারুলও মারা গেলেন
<![CDATA[
গাজীপুরে সিএনজি পাম্পে বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় সবশেষ আনোয়ারুল ইসলামও (২৭) মারা গেছেন। এ নিয়ে দগ্ধ পাঁচজনই জনই একেএকে মারা গেলেন।
রোববার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আনোয়ারুলের শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল তার। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।
তার ছোট বোন আঞ্জু আক্তার জানান, তাদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার মিত্রমাটি গ্রামে। বাবার নাম আজিজুল হক। বর্তমানে গাজীপুর গাছা কলম্বিয়া এলাকায় স্ত্রী লাকি ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন আনোয়ারুল। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন।
দুর্ঘটনার পর দগ্ধ আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তিনি ও আলআমিন গাছা এলাকার ‘ফাহিম বয়লার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন। ডিজেলচালিত একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে বড়বাড়ি এলাকার হাজী ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশন যান। ভ্যানটিতে আনুমানিক দেড়শ’ খালি সিলিন্ডার ছিল। সেগুলোতেই পাম্প থেকে গ্যাস নেয়ার কথা ছিল। গ্যাস নেয়ার শুরুতেই বিকট এক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গাড়িতে থাকা পাঁচজনই দগ্ধ হন।
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুর গাছা বড়বাড়ি এলাকায় হাজী ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশনে একটি কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস নেয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়। এতে পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় মারা যান আতিকুল ইসলাম মিঠু, পারভেজ, আলআমিন ও টুটুল।
]]>