গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে প্রেম
<![CDATA[
ভাষা কোনো সম্পর্কে বাধা হতে পারে না। প্রযুক্তি এগিয়েছে। তাই ভাষা না জেনেও কাছে আসা যায়। একে অপরকে জানা যায়, বোঝা যায়। যার প্রমাণ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হারবিজ ও কাজাখস্তানের ম্যাডিনা। তারা বুঝতেনই না একে অপরের ভাষা। কথোপকথন হতো গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে।
দুজনের মাঝে ভৌগোলিক ব্যবধান পাঁচ হাজার মাইলেরও বেশি। কিন্তু শুধু ভৌগোলিক ব্যবধানই নয়, রয়েছে আরও একটি বাধা–ভাষা। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হারবিজ ও কাজাখস্তানের ম্যাডিনা বুঝতেন না একে অপরের ভাষা। কথোপকথন হতো গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে। আর সেই প্রতিবন্ধকতা জয় করেই পরিণয়-বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুজন। ২০১৮ সালে বন্ধুদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ম্যাডিনা। সেখানেই ম্যাথুর সঙ্গে আলাপ হয় তার। প্রথম দেখায় যদিও প্রেমে পড়েননি। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল দুজনের।
আরও পড়ুন: মহান শিক্ষা দিবস
ম্যাডিনা দেশে ফেরার পরও চলতে থাকে মেসেজ চালাচালি। ম্যাডিনা ইংরেজি জানতেন না, ম্যাথুও বুঝতেন না ম্যাডিনার মাতৃভাষা কাজাখ। কাজেই গুগলের অনুবাদ-প্রযুক্তি ছাড়া গতি ছিল না। কিন্তু তাতে কাছাকাছি আসা আটকে থাকেনি, বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসায়। প্রতি তিন-চার মাস অন্তর দেখা করতে শুরু করেন তারা। সমস্যা বেড়ে যায় কোভিডের সময়। দেখা করা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। দীর্ঘ লকডাউন শেষে ২০২১ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পান ম্যাডিনা। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে দু-সপ্তাহ নিভৃতবাসে থাকতে বাধ্য হন তিনি। এই গোটা সময়ে তার হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন ম্যাথু।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে এই ৬ খাবার!
এরপরই গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন তারা। অবশেষে ২০২২-এ বিয়ে করেন তারা। ম্যাডিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবার পাকাপাকিভাবে অস্ট্রেলিয়াতেই থাকবেন তিনি। তবে প্রেমের সময়ে বড় বন্ধু হয়ে দেখা দিলেও আর গুগল ট্রান্সলেটরের ভরসায় থাকতে চাইছেন না দুজনের কেউ-ই। অল্প অল্প করে একে অপরের ভাষা শিখতে শুরু করেছেন তারা।
সূত্র: আনন্দবাজর
]]>