গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছে নেতাকর্মীরা, সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
<![CDATA[
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে বেলা ১১টায়। সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পরপরই শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। যে কোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় তাদের। এদিকে গোলাপবাগ মাঠে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং বিএনপি। দফায় দফায় বৈঠক ও চিঠি চালাচালির পর দলটির প্রস্তাবে সমাবেশের একদিন আগে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে ২৬ শর্ত।
শেষ মুহূর্তে অনুমতি পেয়ে সমাবেশস্থল সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করেছে সবাই। রাতেই মাঠের চারপাশে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাতে দেখা গেছে। চলেছে মঞ্চ তৈরির কাজও। ইতোমধ্যে মঞ্চ তৈরি হয়ে গেছে।
এরই মধ্যে মাঠ পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। র্যাবও খতিয়ে দেখেছে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি। তারা জানান, গণসমাবেশ ঘিরে নেয়া হবে পর্যান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিকে অনুমতি পাওয়ার পর গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। হাজারো নেতাকর্মী রাতভর মাঠেই অবস্থান করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ প্রদানের শর্তে বিএনপিকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি
আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর হতেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন সমাবেশে। মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। তবে সমাবেশে আসার পথে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানান সমাবেশে আসা বিএনপি সমর্থকরা।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশ ব্যাহত করতে ঢাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল, আব্বাসসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীতের মুক্তি দিতে হবে। সমাবেশে সরকার পতনের ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবারের সমাবেশে সরকারবিরোধী সব দলকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এদিকে এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে পল্টনে। ফকিরাপুল এবং নাইটিংঙ্গেল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যান চলাচল। বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
]]>