গোলে এগিয়ে হলান্ড, আতঙ্কে মেসি
<![CDATA[
ফুটবল পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট অপ্টা সম্প্রতি তাদের এক পরিসংখ্যানে দেখিয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় গোল করায় এগিয়ে আছেন নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আতঙ্ক সৃষ্টিতে এগিয়ে আছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি।
চলতি মৌসুমে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন হলান্ড। যে প্রত্যাশা নিয়ে পেপ গার্দিওয়ালা দলে টেনেছিল, সে ধারণারও বাইরে যেন এ নরওয়েজীয় তারকা। চলতি মৌসুমে মাত্র ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৭টি গোল।
এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে তিন হ্যাটট্রিকসহ মাত্র ৮ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল। সবশেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে সতীর্থকে দিয়েও করিয়েছেন দুটি গোল। তার পরে ৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেয়া পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদোভস্কি। তারও অ্যাসিস্ট সংখ্যা ২টি।
আরও পড়ুন: এবার রোনালদোকে ছেড়েই দিচ্ছে ম্যানইউ!
অন্যদিকে ১২ ম্যাচে ১১ গোল করার পাশাপাশি ৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। তার চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে ১১ গোল করেছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার নেই কোনো অ্যাসিস্ট। ইনজুরির কারণে এ মৌসুমে বেশ কিছু ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি করিম বেনজেমার। গোলের প্রতিযোগিতায় এবার তিনি অনেক পিছিয়ে। ৭ ম্যাচে ৪ গোলের পাশাপাশি করেছেন একটি অ্যাসিস্ট।
গোল স্কোরারের তালিকায় হলান্ড, এমবাপ্পে ও নেইমারদের তুলনায় পিছিয়ে সময়ের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। ১২ ম্যাচে তিনি করেছেন মাত্র ৭টি গোল। তবে তার অ্যাসিস্টের সংখ্যা গোলের চেয়ে একটি বেশি। অবশ্য একজন উইঙ্গার বা প্লেমেকার গোলের দিক থেকে স্ট্রাইকারের চেয়ে পিছিয়ে থাকারই কথা। কারণ তারা স্ট্রাইকারকে দিয়েই গোল করান বেশিরভাগ সময়।
সে হিসেবে মেসির লড়াইটা হওয়ার কথা নেইমারের সঙ্গেই। এদিক থেকে নেইমার গোল ও অ্যাসিস্টে এগিয়ে আছেন মেসির তুলনায়। কিন্তু ফুটবল পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট অপ্টা যে পরিসংখ্যান তৈরি করেছে তাতে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। গোল, অ্যাসিস্ট, ফিনিশিং, পাস ও ড্রিবল দ্বারা খেলোয়াড়েরা নিজ নিজ দলের খেলায় কীভাবে সরাসরি প্রভাব রাখছে, তা বিবেচনায় নিয়ে যে পরিসংখ্যান তৈরি করেছে অপ্টা তাতে সবার থেকে এগিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা।
আরও পড়ুন: যে কারণে হলান্ডকে মেসির পর্যায়ে ভাবেন না গার্দিওলা
ফুটবল পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইটটি বলছে, আর্জেন্টাইন তারকা প্রতি ম্যাচে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ৫.২৫টি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। সবশেষে লিগ ওয়ানের ম্যাচে নিসের বিপক্ষে ফুটবলে মেসির অলরাউন্ডিং দক্ষতা দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। প্রতিপক্ষের ফুটবলারের ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাওয়ার পর ফাউলের আবেদন না করে তিনি আধশোয়া অবস্থায় নিজ দলের খেলোয়াড়কে গোলের উদ্দেশে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের জন্য তিনি কতটা আতঙ্কের তার যথাযথ উদাহরণ পাওয়া গিয়েছিল নিসের বিপক্ষে ওই ম্যাচেই।
]]>