খেলা

গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এখনই নয়

<![CDATA[

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুখের কথায় চিড়ে ভিজবে না। যাচাই-বাছাই ছাড়া হুট করেই প্রত্যাহার করা হবে না গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নিষেধাজ্ঞা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ড্রাইভ টেস্ট করে গ্রামীণফোন আমাদের যে ছাতুমাতু (যেমন খুশি তেমন কিছু বোঝানো) দেখাচ্ছে, এগুলো আমরা বুঝি। মানুষের ভোগান্তি তৈরি করে তাদের মুনাফার পাহাড় বানাতে দেব না।

সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞায় জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ লাখ গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন। নিষেধাজ্ঞা তুলতে নেটওয়ার্ক উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বিটিআরসিতে আবেদনও করেছে শীর্ষ অপারেটরটি। তবে, অনড় অবস্থানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। তিনি বলেন, মুখের কথায় চিড়ে ভিজবে না। চান দৃশ্যমান প্রমাণ।

আরও পড়ুন: গ্রামীণফোন নতুন বা পুরানো কোনো সিমই বিক্রি করতে পারবে না

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণফোন নিজে তার মান নিয়ে প্রতিবেদন দিলে তো হবে না, এ প্রতিবেদন যাচাই করে দেখা হবে, আসলেই তারা কোনো উন্নতি করেছে কিনা। বিটিআরসি অল্প সময়েই নিজেরা ড্রাইভ টেস্ট করে অপারেটরটির সেবার মান যাচাই করবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ফাইবার রেজুলেশন আমরা ডাবল করেছি। গত ২৫ বছরে যা ছিল তা গত একবছরে তার দ্বিগুন করা হয়েছে। এ মুহূর্তে অনেক ভালো সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

কলড্রপ, কথা শুনতে না পাওয়া, ইন্টারনেটে ধীরগতিসহ সেবার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে গত জুনে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সেপ্টেম্বরে পুরোনো সিম বিক্রির অনুমোদন দেয়া হলেও তা প্রত্যাহার করা হয় গত ৬ নভেম্বর। এরপর শর্তসাপেক্ষে ৭৮ হাজার করপোরেট সিম বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে খুচরা দোকানগুলোতে গ্রামীণফোনের সিম পাচ্ছেন না সাধারণ গ্রাহক।

সিম বিক্রি করতে না পারায় গত ৫ মাসে গড়ে প্রায় ৭ লাখ করে গ্রাহক হারিয়েছে জিপি। সবমিলিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ। এ অবস্থায় গত ২৫ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যহারে বিটিআরসিতে আবেদন করেছে জিপি। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে নিজেদের করা ড্রাইভ টেস্টের প্রতিবেদন ও নেটওয়ার্ক উন্নয়নের ফিরিস্তি। নিয়মানুযায়ী কলড্রপ হার ২শতাংশের নিচে রাখতে হয়। সেখানে জিপির ড্রাইভ টেস্টে কলড্রপ হার মিলেছে শূন্য থেকে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। আর ফোরজিতে গতি সেকেন্ডে সাত এমবিপিএসের বিপরীতে পাওয়া গেছে ১০-১২ এমবিপিএস। বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা আট কোটি ১৪ লাখ।

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!