ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’-এর অর্থ জানেন?
<![CDATA[
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌসে’ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি যতই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে, মানুষের কৌতূহলও তত বাড়ছে: ঝড়টি কি বাংলাদেশে আঘাত হানবে? কতটা ক্ষতি করবে এই ঝড়? আর উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেয়া এই ‘মানদৌস’ নামের অর্থই-বা কী।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগরতীরের ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : সঠিক পূর্বাভাস দিতে কেন ব্যর্থ হচ্ছে আবহাওয়া দফতর
বঙ্গোপসাগরের সবশেষ ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল ‘সিত্রাং’। নামের ক্রম অনুযায়ী এবার বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তার নাম হবে ‘মানদৌস’। এই নামটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেয়া।
ইন্টারনেট ঘেঁটে জানা যায়, ‘মানদৌস’ আরবি শব্দ। যার অর্থ ‘গয়না বা ধনদৌলতের বাক্স’।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন/ঘূর্ণিঝড়ের চরম ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মানদৌস যদি গতিপথ পরিবর্তন না করে, তবে এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলভাগে বৃষ্টি হতে পারে। আর মানদৌসের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মানদৌসের পর ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। ‘মোচা’ নামটি ইয়েমেনের দেয়া।
]]>




