বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটবাসীর

<![CDATA[

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটবাসীর। জানমালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় জেলার বেশিরভাগ মানুষই জেগেছিলেন সারা রাত। জেলার ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন ৭৩ হাজার ২০০ মানুষ। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে আবহাওয়া রোদ্র্যোজ্জ্বল থাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

এদিকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও ঝড়ে জেলায় বিপুল পরিমাণ গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের বসতবাড়ি।

শরণখোলা উপজেলা সদরের ফায়েল খায়ের আশ্রয়ণকেন্দ্রে থাকা জিলবুনিয়া গ্রামের অনিল ঋষি বলেন, ঘরের অবস্থা ভালো ছিল না। তাই রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। ছেলেমেয়ে নিয়ে শুধু মুড়ি ও চানাচুর খেয়ে রাত কাটিয়েছি।

আরও পড়ুন: দুর্বিষহ রাতের স্মৃতি নিয়ে ঘরে ফিরছেন তারা

আবুল হোসেন হাওলাদার নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবন রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছি। সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।

শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, শরণখোলা উপজেলার সাউথখাল, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও ধানসাগর ইউনিয়নে বিপুল পরিমাণ গাছ উপড়ে পড়েছে। বেশকিছু কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা সব মিলিয়ে চেষ্টা করেছি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার। এ ছাড়া উপজেলার কোথাও কোনো মানুষের ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান বলেন, জেলার ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৩ হাজার ২০০ মানুষ। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আমরা কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!