বিনোদন

চট্টগ্রামে আকাশ ছুঁয়েছে আদা-রসুনের দাম

<![CDATA[

এলসি (ঋণপত্র) জটিলতায় আমদানি ঘাটতিতে চরম অস্থির দেশের আদা ও রসুনের বাজার। এক মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে কেজিতে দাম বেড়েছে ১২০ টাকা পর্যন্ত। সরবরাহ স্বভাবিক না হলে রমজানে দাম আরও বাড়ার শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীদের।

দেশে রসুন ও আদার যে চাহিদা, তা পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। ৯৫ শতাংশ বাজারই নিয়ন্ত্রণ করেন চীনের সরবরাহকারীরা। এর বাইরে কিছু মিয়ানমার ও ভারত থেকে আমদানি হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ঋণপত্র খুলতে না পারায় আমদানি নির্ভর এ দুইটি পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে এক মাসের ব্যবধানে আদা ও রসুনের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মোহাম্মাদীয়া ট্রেডিং ম্যানেজার মোহাম্মদ ফারকান বলেন, বর্তমানের চীনের আদার কেজি ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা আর ভারতীয় আদার কেজি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। প্রতি কেজি চীনা রসুনের পাইকারি দাম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা এবং ভারতীয় আদা ১০৫ টাকা।

খাতুনগঞ্জের মদিনা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া বলেন, এলসি না খুলতে পারলেও বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছি না। এতে বাজার আদা-রসুনের দাম আরও বেড়ে যাবে।

ইতোমধ্যে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, কিছু ব্যাংক এলসি দিলেও সেখানে প্রাধান্য পাচ্ছেন বড় আমদানিকারকরা। রমজানের আগে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধানের সরবরাহ বাড়লেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত দাম

এমন শঙ্কা প্রকাশ করে মিতালি ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, যারা বড় আমদানিকারক, তারাই এলসি খুলতে পারছেন। যারা ছোট আমদানিকারক, দুই-চার কনটেইনার পণ্য আনবে, তারা এলসি খুলতে পারছেন না।

যদি সরকার এলসি খোলার ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে হয় তো বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলীম ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ জসীম।

তবে ভারত থেকে পর্যাপ্ত আমদানি ছাড়াও দেশীয় উৎপাদন মৌসুমের কারণে পেঁয়াজের বাজার তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে আছে। খাতুনগঞ্জের মেসার্স খাজা ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, এখন পেঁয়াজের সরবরাহ খুব ভালো। আমাদের দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠছে, সেই সঙ্গে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহও ভালো। তাই পেঁয়াজের বাজার বাড়বে না। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৮ থেকে ৩৬ টাকা।

দেশে বছরে আদার চাহিদা সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন, রসুনের ৯ লাখ মেট্রিক টন এবং পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ মেট্রিক টন। 
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!