চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনে দরকার সরকারের নীতিসহায়তা
<![CDATA[
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতিসহায়তা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি জসিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতিসহায়তা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বদলে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প বিকাশের মধ্য দিয়েই আগামীর লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
জসিম উদ্দিন বলেন, শিল্পনীতিতে বৃহৎ থেকে অতি ক্ষুদ্র এবং সম্পর্কিত শিল্প সম্পর্কিত সৃজনশীল পর্যটন ও সেবাখাত, ট্রেডিং খাতকে একাধিক উপখাতে বিভক্ত করে আলাদাভাবে সঞ্চায়িত করা হয়েছে। মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে একাধিক মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা জড়িত রয়েছে। এসব সংস্থার প্রত্যেকের কার্যক্রম ও দায়িত্ব পালনে বাধ্যবাধকতা জরুরি।
প্রতিটি বিষয় সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
আরও পড়ুন: বন্দরের পণ্য প্যালেটাইজেশনের সিদ্ধান্তে দ্বিমত ব্যবসায়ীদের
এদিকে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ববাজার উপযোগী পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টির লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
তবে এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের নবযাত্রা কৃষির হাত ধরে হলেও বর্তমানে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হচ্ছে শিল্পখাত। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করার জন্য ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ উদ্যোক্তাদের দূরদর্শী উদ্যোগ ও কর্মতৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে।
২০২০ সালে জাতীয় অর্থনীতিতে উদ্যোক্তাদের অবদানকে মূল্যায়নের জন্য বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির ও হাইটেক এই ৬ ক্যাটাগরিতে ২০টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার। অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
২০১৩ সাল থেকে শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে শিল্প মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
]]>




