চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার
<![CDATA[
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শহর থেকে সরিয়ে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়ায় তিন ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বাদশাহ মিয়া সড়ক অবরোধ করে গানে গানে আন্দোলন শুরু করেন। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন চারপাশ, বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জানান তাদেরে দাবির কথা। ফলে সড়কের দুপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, মূলত আবাসন, ক্যান্টিন ও পর্যাপ্ত ক্লাসরুমসহ ২২ দফা দাবিতে গত ৮ দিন ধরে তারা ক্লাস বর্জন করে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে চার দফা বৈঠকও করেছেন তারা। বৈঠকে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, শিক্ষকদের সম্মতি সাপেক্ষে তাদের দাবি মেনে নেয়া হবে। সে বিষয়ে শিক্ষকরা আজ কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ করেন। উল্টো শিক্ষকরা তাদের শাসিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপরই ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নেন তারা। এখন ২২ দফা নয়, শিক্ষা কার্যক্রম মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের একদফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাঈদ কবির বলেন, ‘দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নেয়া হবে। আটদিন ধরে আন্দোলন করছি। প্রয়োজন হলে একমাস ধরে করবো।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ভিসিবিরোধী আন্দোলনের ৫ ছাত্রের মামলা নিষ্পত্তি
শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, ‘২০১০ সালে মূল ক্যাম্পাস থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউট শহরে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মূল ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়, আমরা সেসব থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া চারুকলার জন্য যে ধরনের খোলা জায়গা, উন্মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন তা এখানে নেই।’
সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে রাত ৯টায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক। আন্দোলনের তিন ঘণ্টা পর প্রশাসন থেকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসেন বিক্ষোভকারীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
]]>




