চার জেলায় ৭ জনের মৃত্যু
<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বয়ে যাওয়া ঝোড়ো হাওয়ায় গাছের নিচে চাপা পড়ে কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজনসহ চার জেলায় সাতজনের মৃত্যৃ হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত সময় সংবাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে এ সব মৃত্যুর খবর এসেছে।
কুমিল্লা:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে জেলার নাঙ্গলকোটে গাছের নিচে পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভোলা:
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে গাছচাপা পড়ে মনির স্বর্ণকার (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জনা গেছে, মনির সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের প্রভাবে গাছচাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
এদিকে ভোলার দৌলতখান পৌরসভান ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরচাপা পড়ে বিবি খাদিজা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরগুনা:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে গাছের চাপায় রাত ৮টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকায় আমেনা খাতুন নামে শতবর্ষী এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: আঘাতের পর বিপদমুক্ত যেসব জেলা
মৃতের স্বজনরা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ঘরে বসে ভাত খাচ্ছিলেন আমেনা খাতুন। এ সময় ঘরের পাশে থাকা একটি চাম্বল গাছ উপড়ে তার ঘরের উপর পড়ে। এতে ঘরের নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরে স্বজনরা তাকে মৃত অবস্থায় ঘরের নিচ থেকে উদ্ধার করে।
এ ছাড়াও নড়াইলে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
]]>