চীনকে মোকাবিলায় সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে ভারত
<![CDATA[
চীনের সেনাবাহিনীকে মোকাবিলায় সীমান্তে নিজেদের সেনাসংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় সংঘাতে জড়ায় ভারত ও চীনের সেনারা। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর বের হয়। এরপর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইস্যুটি নিয়ে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের মুখোমুখি হন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চীনা সেনাদের অনুপ্রবেশের কারণেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে দাবি তার। এমনকি চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় নজিরবিহীন মাত্রায় সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভারত সীমান্ত অঞ্চলের স্থিতাবস্থা চীনকে ‘একতরফাভাবে’ পরিবর্তন করতে দেবে না বলেও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। তবে সংঘর্ষের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে এবং দুপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। জয়শঙ্করের নতুন বক্তব্য নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি চীন।
আরও পড়ুন: অগ্নি-৫ পরীক্ষা /চীনের প্রতি ভারতের আগাম সতর্কবার্তা?
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, চলতি সপ্তাহেই ‘প্রলয়’ নামে স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার বিজ্ঞানীদের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম।
চীন ও ভারতের মধ্যে ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিরোধপূর্ণ সীমান্ত আছে। এর আগে ২০২০ সালে লাদাখ অঞ্চলে সংঘাতে জড়ায় দুপক্ষের সেনারা। এতে বহু সেনা নিহত হন।
]]>




