চীনে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ
<![CDATA[
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনে কোথাও কোথাও লকডাউন জারি করেছে দেশটির সরকার। লকডাউনের মধ্যে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে আগুনে ১০ জনের মৃত্যু পর সেখানকার বাসিন্দারা লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) শহরটিতে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারো মানুষ। এসময় সরকারের নেয়া জিরো কোভিড নীতির ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে সংক্রমণ ঠেকাতে বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকির রাস্তায় ও নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করতে এবং তাদের ‘লকডাউনের অবসান চাই’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শুক্রবারও (২৫ নভেম্বর) চীনে নতুন করে ৩৫ হাজার মানুষ করোনা শনাক্ত হন। এতে মহামারি শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হলো দেশটিতে।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া করোনা প্রতিনিয়ত রেকর্ড ভাঙছে। এ অবস্থায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বেইজিংয়ের স্কুল-কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। তবে এ সিদ্ধান্তে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলেই আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানান চীনের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: চীনে আবাসিক ভবনে আগুন, পুড়ে অঙ্গার ১০
এদিকে চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে একটি আবাসিক বহুতল ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দগ্ধদের জরুরি চিকিৎসা দেয়া সত্ত্বেও ১০ জনের মৃত্যু হয়। আগুনে মারাত্মকভাবে দগ্ধ অপর ৯ জন বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের সরকারি কর্তৃপক্ষ বিধিনিষেধ শিথিল করার পরেই সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে। নতুন করে শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় দেশটির রাজধানী বেইজিংসহ সব বড় শহরের বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব এখন অনেকটাই কমে এসেছে। বেশিরভাগ দেশে এখন নেই লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে চীনে। দেশটিতে গত ছয় মাসে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।
]]>




