চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্বের শেষ কোথায়
<![CDATA[
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব কয়েক দশকের। কিন্তু সম্প্রতি সেই দ্বন্দ্ব পেয়েছে নতুন মাত্রা। বিশেষ করে চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাইওয়ান সফরের প্রেক্ষিতে উত্তেজনা চরম রূপ নেয়।
চীনা সরকারের পক্ষ থেকে বারবার উদ্বেগ জানানোর পরও চলতি বছরের আগস্টে সদলবলে তাইপে সফর করেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এই সফরে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রয় নিয়ে কথা বলেন ন্যান্সি পেলোসির বহুল আলোচিত ওই সফরকে তাইওয়ানের স্বাধীনতায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক সমর্থন ও চীনের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখে বেইজিং।
ফলে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় এবং পেলোসি তাইপে ছাড়ার আগেই তাইওয়ান ঘিরে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করে চীনের সেনাবাহিনী- পিপলস লিবারেশন আর্মি, যা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা মহড়ায় চীনের সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো তাইপের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। চীনা উপকূলের কাছেই তাইওয়ানের দ্বীপগুলোর ওপর দিয়ে শত শত সামরিক ড্রোন ওড়ায়। তাইওয়ান প্রণালীর মাঝরেখা বরাবর পাঠানো হয় যুদ্ধজাহাজের বিশাল বহর। এক কথায়, কয়েক দিনের জন্য তাইওয়ান দ্বীপ ঘিরে ফেলে চীন। যাকে রীতিমতো ‘অবরোধ’ বলা যায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে এমন উত্তেজনা গত তিন দশকে দেখা যায়নি। এর আগে সবশেষ ১৯৯৬ সালে তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছিল। যার এক পর্যায়ে বেইজিং তাইওয়ান উপকূলের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে পরিচিত লি তেং-হুই যেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে না পারেন, সেটাই ছিল চীনের একমাত্র উদ্বেগ। কিন্তু চীনের জন্য সেটা বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। ব্যাপক ভোটে নির্বাচনে জিতে যান লি। লি’র মতো প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকেও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে দেখে চীন। কারণ চীন-তাইওয়ান ‘এক’- বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের এই অবস্থান মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন তিনি। রাষ্ট্র হিসেবে তাইওয়ানের পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রিপাবলিক অব চায়না’ হলেও দেশটির সরকারের বক্তব্য হচ্ছে, যেহেতু তাইওয়ান কখনও পিপল’স রিপাবলিক অব চায়নার শাসনাধীন ছিল না, তাই তাইওয়ানের ব্যাপারে তাদের দাবি যৌক্তিক।
প্রেসিডেন্ট সাইয়ের মতে, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ তার ২ কোটি ৩০ লাখ জনতাই ঠিক করবে। তবে জনগণ ও আঞ্চলিক শান্তির প্রশ্নে কোনো উসকানি নয়, চীনের সঙ্গে সংলাপ চান তিনি। তিনি আরও বলেছেন, তাইওয়ান শান্তি চায়, তবে আক্রমণ করা হলে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। পেলোসির সফরের পর থেকে তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে চীন। যদিও তা আগের চেয়ে সীমিত পরিসরে। বিপরীতে নিজের প্রতিরক্ষা জোরদার করে চলেছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের অবস্থান
তাইওয়ান একটি দ্বীপ। চীনের দক্ষিণ–পূর্ব উপকূল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০০ মাইল। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র দেশও রয়েছে। এই দেশগুলোকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। চীন-তাইওয়ান বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে দ্বীপটি নিয়ে বেইজিং ও তাইপের দৃষ্টিভঙ্গি। বেইজিং মনে করে, তাইওয়ান চীনের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ। অর্থাৎ তাইওয়ান চীনেরই অংশ। অন্যদিকে তাইপে তাইওয়ানকে স্বায়ত্বশাসিত পৃথক দেশ মনে করে।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, চীন যদি তাইওয়ান দখল করে নেয়, তাহলে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশটির শক্তি আরও বেড়ে যাবে। এমনকি গুয়াম ও হাওয়াই দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোও হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবে এ নিয়ে ভিন্নমত চীনের। দেশটি বলছে, তাইওয়ান নিয়ে তাদের উদ্দেশ্য একেবারেই শান্তিপূর্ণ।
সংক্ষেপে তাইওয়ানের ইতিহাস
ঐতিহাসিকদের মতে, অস্ট্রোনেশিয়ান আদিবাসীরা প্রথম তাইওয়ানে বসতি স্থাপন করে। এই অস্ট্রোনেশিয়ানরা বর্তমান সময়ের দক্ষিণ চীন থেকে সেখানে পাড়ি জমিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। চীনের রেকর্ডে দ্বীপটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ২৩৯ খ্রিস্টাব্দে। সে সময় চীনের এক রাজা তাইওয়ানে একটি অভিযাত্রী ১৬২৪ থেকে ১৬৬১ সাল পর্যন্ত দ্বীপটি ডাচ উপনিবেশ ছিল।
ঐতিহাসিক সূত্রগুলো বলছে, তাইওয়ান প্রথম পুরো চীনের নিয়ন্ত্রণে আসে ১৭০০ শতাব্দীতে, যখন ‘কিং’ রাজবংশের শাসনামল শুরু হয়। ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত এটি কিং রাজবংশের শাসনাধীনে ছিল। ওই সময় দলে দলে চীনারা তাইওয়ানে ভিড় জমাতে শুরু করে। বেশিরভাগই ছিল ফুজিয়ান প্রদেশের হোকলো ভাষাভাষী কিংবা গুয়াংডংয়ের হাক্কা ভাষাভাষী। তাদের বংশধররাই এখন স্বশাসিত দ্বীপের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। এরপর ১৮৯৫ সালে প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর চীনকে এই দ্বীপটি তুলে দিতে হয় জাপানের হাতে। এরপর জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে যাবার পর ১৯৪৫ সালে চীন আবার জাপানের কাছ থেকে দ্বীপটি নিয়ে নেয়। কিন্তু মূল চীনা ভুখণ্ডে চিয়াং কাই-শে’র নেতৃত্বাধীন দেশটির জাতীয়তাবাদী সরকারের অনুগত বাহিনী ও বিরোধী মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
গৃহযুদ্ধে জয়ী হয়ে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা বেইজিংয়ের ক্ষমতায় বসে। কমিউনিস্ট পার্টির কাছে পরাজিত হওয়ার পর চিয়াং কাই–শেক ও তার জাতীয়তাবাদী দল ‘কুয়োমিনটাং’র অনেকে তাইওয়ানে পালিয়ে যান। এর পরের কয়েকটা দশক সেখানেই তারা শাসন করেছিলেন। ওই সময় থেকেই কুয়োমিনটাং দ্বীপটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজা। মূলত ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করেই চীন দাবি করে আসছে, তাইওয়ান তাদের একটি প্রদেশ। ইতিহাসের কথা টেনেই আবার উল্টো দাবি করছে তাইওয়ান।
তাদের ভাষ্য, ১৯১১ সালের বিপ্লবের পর যে আধুনিক চীন গড়ে উঠেছিল, কোনোকালেই তার অংশ ছিল না তাইওয়এমনকি ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের হাত ধরে গড়ে ওঠা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অধীনেও ছিল না তারা। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয়া দেশের সংখ্যাও কম। বিভিন্ন দেশকে এ নিয়ে কূটনৈতিক চাপের মধ্যে রেখেছে বেইজিং। মাত্র ১৩টি দেশের কাছ থেকে তাইওয়ান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
চীন-তাইওয়ান সাম্প্রতিক সম্পর্ক
আশির দশকের দিকে চীন ভ্রমণ ও সেখানে বিনিয়োগের নিয়মকানুন শিথিল করে তাইওয়ান। এরপর দুই পক্ষের সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে। ১৯৯১ সালে স্বশাসিত দ্বীপটির সরকার এক বিবৃতি বলে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ শেষ হয়েছে।
চীন তখন তাইওয়ানকে তথাকথিত ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থার’ আওতায় একত্রিত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। যে প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে হংকংও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত হয়। কিন্তু তাইওয়ান ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর সম্পর্ক আবারও শীতল হতে থাকে। বেইজিং তাইওয়ানের চীন প্রজাতন্ত্র সরকারকে ‘অবৈধ’ বলতে থাকে। তার মধ্যেই দুইপক্ষ অনানুষ্ঠানিকভাবে সীমিত পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যায়। স্বাধীনতার পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়া ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) চেন শুই-বিয়ান ২০০০ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বেইজিংয়ের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ২০০৪ সালে চেন দ্বিতীয় মেয়াদে দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর পরের বছর (২০০৫ সালে) চীন বিচ্ছিন্নতাবিরোধী আইন পাস করে, যাতে তাইওয়ান চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ‘শান্তিপূর্ণ নয়’ এমন পন্থা অবলম্বন করার কথা বলা হয়।
২০০৮ সালে কুয়োমিনটাংয়ের মা ইং-জেওউ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি নানান অর্থনৈতিক চুক্তি করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করেন। আট বছর পর স্বাধীনতাপন্থি ডিপিপির সাই ইং-ওয়েন প্রেসিডেন্ট হলে পরিস্থিতি ফের বদলে যায়। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কোম্পানির ওপর বেইজিং চাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিলে দুই পক্ষের বিবাদ আরও বেড়ে যায়। সে সময় বেইজিং কোম্পানিগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটে তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে না দেখালে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দেয়। ২০২০ সালে সাই রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর যত দিন যাচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাও বাড়ছে।
বর্হিবিশ্বে তাইওয়ান কেন গুরুত্বপূর্ণ
বিশ্বে তাইওয়ানের অর্থনীতির ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। মুঠোফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ঘড়ি ও গেম কনসোলের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে কম্পিউটার চিপ ব্যবহার করা হয়। এই চিপের বড় একটি অংশ তৈরি হয় তাইওয়ানে। তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বা টিএসএমসি বিশ্ব কম্পিউটার চিপের বাজারের অর্ধেকের বেশি দখল করে রেখেছে। ২০২১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের অর্থমূল্য ছিল প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। তাই তাইওয়ানের দখল যদি চীনের হাতে যায়, তাহলে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্পের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাবে বেইজিং।
নতুন বছরে কী ঘটতে পারে
গেল আগস্টের শুরুর দিকে মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরের পর থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আগামী বছরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এদিকে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন রাজনৈতিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। শক্তিশালী হয়েছে সবশেষ স্থানীয় নির্বাচনে সাইয়ের দল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) ভরাডুবি হয়েছে। ফলে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে হয়েছে তাকে। চীনের সঙ্গে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই গত ২৬ নভেম্বর তাইওয়ানে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন ছিল মূলত মেয়র, কাউন্টি প্রধান ও স্থানীয় কাউন্সিলর বাছাস্থানীয় নির্বাচন হলেও ক্ষমতাসীনদের জন্য এটা ছিল বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় রীতিমতো ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়। জয় ঘরে তুলেছে বিরোধী দল কুয়োমিংটাং (কেএমটি)। ২১টি মেয়র ও কাউন্টি প্রধানের পদের মধ্যে ১৩টিতে জয় পায় দলটি। বিপরীতে ডিপিপি পায় মাত্র ৫টি। পরাজিত হয়েছেন রাজধানী তাইপের মেয়র চে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তবে স্থানীয় নির্বাচনে ভালো ফল করায় আগের চেয়ে বেশ উজ্জীবিত বিরোধীরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনবিরোধী মনোভাব বেড়েই চলেছে। যদিও মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিরোধী রিপাবলিকানরা। তারপরও তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন সমর্থন আরও শক্তিশালী হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে নতুন সামরিক বাজেটে তাইওয়ানের জন্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন কংগ্রেসের নতুন স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থিও যদি তার পূর্বসূরী ন্যান্সি পেলোসির পদাঙ্ক অনুসরণ করতে থাকেন, তাহলে সামনের দিনে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক নিশ্চিতভাবেই আরও খারাপ হবে। নতুন স্পিকারও যদি তাইওয়ান সফর করেন, তাহলে তাইওয়ানের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করতে পারে বেইজিং।
]]>




