চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ‘সুনজরে’ বাংলাদেশ
<![CDATA[
মার্কিন নেতৃত্বাধীন ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে (আইপিএস) বাংলাদেশকে যুক্ত করা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট ঘোষিত গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) ও গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের (জিএসআই) মতো উদ্যোগে বাংলাদেশকে পাশে চায় বেইজিং। সম্প্রতি ঢাকাকেন্দ্রিক কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়িয়েছে এই দুই পরাশক্তি। কিন্তু হঠাৎই বাংলাদেশকে নিয়ে কেন এত আগ্রহ চীন-যুক্তরাষ্ট্রের?
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈরথ এখন অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’। ভূরাজনীতির সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে দেশ দুটি এখন লিপ্ত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তি হয়ে ওঠার প্রতিযোগিতায়। এর মধ্যেই আবার তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বৈরিতার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। ফলে ওয়াশিংটন-বেইজিং উভয়ই চাইছে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে নিজ নিজ প্রভাব বলয়ে নিয়ে আসতে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে চলা যেকোনো দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। যদিও সেই চ্যালেঞ্জ এখন পর্যন্ত বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানের পাশাপাশি কৌশলগত নানা কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বাংলাদেশকে এখন নিজেদের প্রভাব বলয়ে চায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট কোনো জোটে নাম লেখানো কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন বাংলাদেশের।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতা
সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লউবেখার। নতুন বছরের শুরুতে এটিই ছিল উচ্চপর্যায়ের কোনো মার্কিন কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশে সফর। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক এই জ্যেষ্ঠ পরিচালকের চার দিনের ঢাকা সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টিও।
এদিকে এইলিন লউবেখারের পর শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা সফরে আসছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। সফরকালে তিনি সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে গুরুত্ব পাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কূটনৈতিক তৎপরতা থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আগ্রহ বাড়ছে। অনেকে বলছেন, ওয়াশিংটনের এই মনোযোগ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ভূরাজনৈতিক স্বার্থ এবং কৌশলগত নানা কারণ। বিশেষ করে চীনা বলয় থেকে বাংলাদেশকে দূরে রাখার প্রচেষ্টাও লক্ষ্যণীয়। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এই তৎপরতাকে সতর্কতার সঙ্গেই স্বাগত জানাচ্ছে ঢাকা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা চ্যালেঞ্জিং: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রশংসায় বাইডেন
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসাও করেছেন তিনি।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে এক লিখিত মন্তব্যে বাইডেন এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বাইডেন বলেন, দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে মার্কিন প্রশাসন দেশটির সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার প্রশাসন দুই দেশের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য কাজ করতে আগ্রহী। কারণ, আমরা আগামীর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।’
বাইডেন তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন ও সামুদ্রিকসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ তার বৃহত্তর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকেও একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে প্রসারিত করেছে।
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসাও করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ উদ্বাস্তু ও তাদের আশ্রয়দাতাকে সহায়তা, তাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘চমক’
নতুন বছরের প্রথম কূটনৈতিক সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আফ্রিকা সফর বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের রীতি। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ৯-১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সফর নির্ধারিত চীনের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিন গ্যাংয়ের। কিন্তু সেই রীতি ভেঙে আফ্রিকা সফরে যাওয়ার পথে হঠাৎই বাংলাদেশে যাত্রাবিরতি করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গেল ৯ জানুয়ারি মধ্যরাতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এরপর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বৈঠক হয়।
এরমধ্যেই মার্কিন সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘অপ্রত্যাশিত’ ঢাকা সফরটি বেশ ‘অদ্ভুত’ ছিল। যদিও চীনা মন্ত্রীর এই হঠাৎ যাত্রাবিরতি নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এটি কোনো ‘অফিসিয়াল’ সফর ছিল না। বিস্তারিত না জানিয়ে এটিকে ‘টেকনিক্যাল স্টপওভার’ হিসেবে বর্ণনা করে চীনা কৃর্তৃপক্ষ বলছে, ‘বৈঠকে চীন-বাংলাদেশ উভয় পক্ষের মধ্যে বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেছে এবং নতুন বছরে লেনদেন জোরদার করতে ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অগ্রগতির জন্য যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকা ত্যাগ করলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে সব পক্ষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশের সামনে যখন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে, ঠিক তখন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আকস্মিক সফরের ভিন্ন তাৎপর্যও সামনে এসেছে। আর এই আলোচনা শুরু হয়েছে মূলত তার সফরকে ধরে।
জো বাইডেনের বিশেষ উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লউবেখার সাম্প্রতিক এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসন্ন বাংলাদেশে সফরের মধ্যেই ঢাকায় এসেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের এসব সফরই হয়তো ভাবিয়ে তুলেছে বেইজিংকে। যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বাইপাস’ করে বাংলাদেশকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই হয়তো ঢাকায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই হঠাৎ সফর।
বাণিজ্য স্বার্থ
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল বাংলাদেশ। এর মধ্যে দেশে আমদানি পণ্যের সবচেয়ে বড় উৎস চীন। আর যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি গন্তব্য।
বর্তমানে দেশে চীনা অর্থায়নে সব মিলিয়ে বেশকিছু বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেই চীনা বিনিয়োগ রয়েছে সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কানেক্টিভিটি ও অবকাঠামো খাতে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের বড় অংশীদার হয়ে উঠেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নানা খাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তাও দিচ্ছে, বিশেষ করে ইউএসএআইডি, মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) ও দেশটির অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে।
বাংলাদেশের অস্ত্র আমদানিতেও বড় অবদান রাখছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৩৭ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে চীন। একই সময়ে দেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি হয়েছে ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ছাত্র নিহত হওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অথনৈতিক উন্নয়নের তাগিদেই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখছে বাংলাদেশ। ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয়ের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই দুই পরাশক্তির ‘কৌশলের’ সামনে, কোনো একটিকে বেছে না নিয়ে ভেবে-চিন্তে এগোতে হবে বাংলাদেশকে; দেখাতে হবে কূটনৈতিক দক্ষতা।
বাংলাদেশের অবস্থান
একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টিকে ‘চ্যালেঞ্জিং’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তবে শীর্ষ অর্থনীতির এই দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা থাকলেও তা বাংলাদেশের সমস্যা নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তার সফরের মধ্যে ঢাকায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যাত্রাবিরতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তাদের সমস্যা থাকতে পারে। তবে এটা তাদের মাথাব্যথা, আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই।’
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা কর্মকর্তাদের সফর ঘিরে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আরও বলেন, ‘এটা ভালো খবর যে, আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছি। বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জন ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতির কারণে এমন নজর ও স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে।’
এদিকে, বাংলাদেশ এখনই যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের নতুন কোনো জোটে যুক্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক গড়তে নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়েই এগোতে চায় ঢাকা। এছাড়া বাংলাদেশ নিয়ে বড় রাষ্ট্রগুলোর আগ্রহ বৃদ্ধির বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন সরকারের শীর্ষ এ কূটনীতিক।
‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’- এ মূলনীতির আলোকেই বাংলাদেশ কূটনীতির সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বলে জানিয়েছেন মাসুদ বিন মোমেন।
]]>




