চুরির আগে নির্দিষ্ট এলাকায় বাসা ভাড়া করে ওরা
<![CDATA[
চুরির আগে নির্দিষ্ট এলাকায় বাসা ভাড়া নেন তারা। রেকি করেন সপ্তাহখানেক ধরে। এরপরে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে ডেকে আনেন সহযোগীদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দশ সদস্যের দলটি চুরি করে ফিরে যান যার যার বাড়িতে। চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কৌশলী এ গ্রুপে আছে প্রফেশনাল নৃত্যশিল্পীও।
চট্টগ্রামের সাগর, এক সময় ছিলেন নৃত্যশিল্পী। একটি নাচের দলও ছিল তার। ডাকও পড়তো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এসব বাদ দিয়ে এখন তিনি নাম লিখিয়েছেন চোরের দলে। দুর্ধর্ষ একটি দলের সক্রিয় সদস্য তিনি।
গত ১৭ অক্টোবর সকালে রাজধানীর বংশালের একটি মার্কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। নয় থেকে দশজন অংশ নেয় এ কাজে। মুহূর্তের মধ্যেই তালা ভেঙে দোকানে ঢুকে নগদ কয়েক লাখ টাকা চুরি করে দলটি। ব্যবহার করা হয় কিছু কৌশল। কাপড় দিয়ে, কখনও ছাতা দিয়ে ঢেকে রাখে চারপাশ।
মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে এ চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মজবুত তালা ভাঙার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং নগদ টাকা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৭ চোরাই সাইকেল উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও দলটির সদস্য সংখ্যা দশ। কেউ রাজধানীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে না। চুরির কয়েকদিন আগে দুই থেকে তিন জন ঢাকায় আসেন। টার্গেট নির্ধারণ করার পর খবর দেয়া হয় দলের অন্য সহযোগীদের।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মশিউর রহমান বলেন, এ চক্রটির বেশ কিছু সদস্য ওইসব এলাকার সোনার দোকান, মানি একচেঞ্জের দোকান অথবা হোলসেলের বড় দোকারগুলো টার্গেট করে। এরপর তারা সেটি রেকি করে। কী পরিমাণ কেনাবেচা হয়, কতজন কর্মচারী আছে এগুলো জেনে নেয় তারা।
পুলিশ বলছে, রাজধানীতে গত এক বছরে ৩০টি চুরির কথা স্বীকার করেছেন তারা। মূল টার্গেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সময় সংবাদকে বলেন, তাদের পিটে একটা ব্যাগ থাকে, এ ব্যাগে করে নানা রকম সরঞ্জাম রাখে দোকানের সাঁটার বা দোকানের ভেতরে আলমারির তালা সহজে ভাঙার জন্য। চুরির আগে নির্দিষ্ট এলাকায় বাসা ভাড়া নেন তারা। রেকি করেন সপ্তাহখানেক ধরে। এরপর চুরি করে।
বাবু গ্রুপের বাইরেও আরও চারটি দল একই কায়দায় নিয়মিত চুরি করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
]]>