রাজধানী থেকে আন্তঃদেশীয় অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাকারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
থরে থরে সাজানো বিদেশি পিস্তল। একটি দুটি নয় আটটি সঙ্গে ১৬টি ম্যাগাজিন ও আট রাউন্ড গুলিও রয়েছে।
বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের একাধিক টিম মিরপুর, দারুস সালাম ও গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে এসব অবৈধ অস্ত্র।
এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আন্তঃদেশীয় অস্ত্র চোরাকারবারি চক্রের ৫ সদস্যকে। তারা সবাই যশোর জেলার বেনাপোল এবং শার্শা থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি গোয়েন্দা অভিযানে বিভিন্ন অপরাধীদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীদের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা যশোর জেলার বেনাপোল থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে তা সারা দেশের অপরাধীদের নিকট সরবরাহ করছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে আন্তর্জাতিক অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি নিয়ে অপরাধীদের নিকট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকার পথে। জোরদার করা হয় অভিযান।
গ্রেপ্তার করা হয় চক্রটিকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চক্রটির মূলহোতা আকুল নিজে বা তার বিশ্বস্ত লোকজনের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে যশোর ,খুলনা, বাগেরহাট, ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে। ২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি দুই শতাধিক অস্ত্র সে নিজে বিক্রি করেছে বলে জানায়।
এই চক্রের সদস্যরা অস্ত্র চোরাচালানসহ তক্ষক প্রতারণা, সীমান্ত পিলার, সাপের বিষ, গোল্ড স্মাগলিং, প্রত্নতাত্ত্বিক মূর্তি, ইয়াবা, আইস মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।