চৌমুহনীর অসহনীয় যানজটে নাকাল নোয়াখালীবাসী
<![CDATA[
চৌমুহনী বাজারের অসহনীয় যানজটে নাজেহাল নোয়াখালীবাসী। প্রধান সড়কে বাস থামিয়ে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, পিকআপ দাঁড় করিয়ে মালামাল লোড-আনলোড, রাস্তা দখল করে হকারদের দাপট, সবমিলিয়ে দুর্বিষহ অবস্থা। যানজট নিরসনে চৌমুহনী বাজার এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ ও ওভারব্রিজ নির্মাণের বিকল্প নেই বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যকেন্দ্র নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজার। এক সময় দেশীয় ও মাড়োয়ারিদের ব্যবসা বাণিজ্য ছিল চৌমুহনী বাজরে। এখানে হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। যানজটের কারণে সেই চৌমুহনী এখন অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে।
নোয়াখালী-ফেনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর চৌমুহনীর সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, মাদারীপুরসহ ১১টি রুট এবং নোয়াখালীর অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চৌমুহনীতে যানজট লেগেই থাকে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন এই পথে যাতায়াতকারীরা।
আবদুল করিম নামে চৌমুহনী বাজারের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দিনের বেলায় চৌমুহনী পার হতে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপচয় হয়। তাছাড়া গোটা রাস্তাজুড়ে থাকে অবৈধ পার্কিং। যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং বন্ধ করতে পৌরসভাকেও উদ্যোগ নিতে হবে।
চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্যাহ পূর্বসূরীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার সাবেক মেয়ররা এই চৌমুহনীর জন্য কোনো মাষ্টারপ্ল্যান তৈরি করে যাননি। যার কারণে আজ এই যানজট।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: ভোগান্তির শিকার উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা
পৌর মেয়র অবৈধ হকারদের পক্ষ নিয়ে অভিযোগের তীর ছোড়েন রাস্তার ওপর ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও হিউম্যান হলারের অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে ওঠার দিকে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো শহীদুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। পৌরসভা থেকে অবৈধভাবে ফুটপাত ইজারা দেয়া ও রাস্তার ওপর দোকানপাঠ বসানো বন্ধসহ অনুমোধনবিহীন গাড়ী চলাচল বন্ধ করতে হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, সারাদেশের রাস্তা প্রশস্ত হলেও চৌমুহনীতে কেন হল না? তার দাবি, যানজট নিরসন করতে হলে চৌমুহনীতে রাস্তা সম্প্রসারণ ও ওভারব্রিজ করতে হবে।
নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের শুরুতে জেলার ব্যস্ততম চৌমুহনী প্রধান সড়কের যানজট নিরসনে ৭০ ফুট প্রশস্তের চার কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেন সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ২৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
]]>




