ছাত্রদল নেতা নিহতের ঘটনায় এসপিসহ ৮ পুলিশের নামে মামলার আবেদন
<![CDATA[
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন নিহতের ঘটনার চার দিনপর তার পিতা মো. রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাসকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলার আবেদন করেছেন। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৪র্থ) আদালতে এ আবেদন করেন।
আবেদনে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও ৮/১০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ নভেম্বর কুমিল্লার মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হঠাৎ করে এলোপাতাড়ি হামলা করে। এ সময় কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়নের পেটে শর্টগান ঠেকিয়ে গুলি নিক্ষেপ করে। এতে তার পেটে ভুড়ি ও পাকস্থলী বের হয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় নয়ন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৫
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান ও অ্যাডভোকেট আরিফুল হক মাসুদ জানান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক সামিউল হকের আদালতে আমরা হত্যা মামলার আবেদন করেছি। আদালত আবেদন গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে পরে আদেশ দেয়া হবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তারা বলেন, থানা মামলা না নেয়ায় বাদী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আমরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।
এদিকে আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করার পর মামলার বাদী নিহত ছাত্রদল নেতার পিতা মো. রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে কোনো অন্যায় করেনি। তাকে কোনো কারণ ছাড়াই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
শুনানি চলাকালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
]]>