ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কিশোরগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
<![CDATA[
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে হোসেনপুর উপজেলা সদরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের স্বাগত জানিয়ে উপজেলা সদরে মিছিল ও সমাবেশ করে হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জহিরুল ইসলাম নূরু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোহেল, হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সোস্তাফিজুর রহমান মোবারেস, সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারিছ মিয়াসহ অন্যরা অংশ নেন।
একই সময় ছাত্রলীগের কমিটিবিরোধী অপর অংশ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন অন্তত ২০ জন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করে দুই পক্ষ।
আরও পড়ুন: কমিটি বাতিলের দাবিতে কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ঝাড়ু মিছিল
খবর পেয়ে হোসেনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদ আলম জানান, সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর মোস্তাফিজুর রহমান মুখলেছকে সভাপতি ও ইয়াসিন আরাফাত শুভকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ সদস্যের হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় সংগঠনটির জেলা কমিটি। এরপর থেকে নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে পদবঞ্চিত দলের একটি অংশ।
]]>