ছাত্রলীগ নেতা ক্ষমা চাওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার চিকিৎসকদের
<![CDATA[
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে হুমকি ও অশোভন আচরণের অভিযোগে তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি শেষে কাজে যোগ দিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফরা।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। পরে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়। বেলা ২টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার তার সন্তানকে চিকিৎসা দিতে আসেন। তার সঙ্গে সঙ্গে সুমন ও রিমন নামে আরও দুই যুবক ছিল। তারা চিকিৎসক মো. সোহাগের কক্ষে অন্য রোগীদের পাশ কাটিয়ে ঢুকছিলেন। এ সময় চিকিৎসক সোহাগ তাদের নিয়ম অনুযায়ী লাইনে দাঁড়িয়ে আসতে বলেন। এ নিয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিজারের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় সিজার, সুমন ও রিমন চিকিৎসক স্টাফদের হুমকি এবং শরীরে ধাক্কা দেন। পরে শনিবার বেলা ১১টা থেকে চিকিৎসক ও স্টাফরা হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করে।
খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সরোয়ার উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম হাসপাতালে আসেন। তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে অভিযুক্ত সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিজারকে আসতে বলা হয়। সিজার ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া জানান, চিকিৎসক ও স্টাফদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তারা কর্মবিরতি পালন করেন। অভিযুক্তদের বিচার না করা হলে তারা লাগাতার এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়।
অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেফাজুল আসাদ সিজার বলেন, ‘এক মহিলাকে বসতে না দেয়ায় একটু তর্কাতর্কি হয়। কিছু বেয়াদবি হয়েছে আর কী। আজকে সিনিয়রদের থেকে মাপ চাওয়ায় বিষয়টি সমাধান হয়েছে।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে কেউ থানায় আগে অবগত করেননি। আজকে জানার পর আমরা হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি তারা বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছেন।’
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সরোয়ার উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের আগে জানানো হয়নি। আমরা জানলে হয়তো এমনটি হতো না। আজকে কর্মবিরতির খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। অভিযুক্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পরে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।’
]]>




