ছাত্রী উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পেটালো বখাটেরা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বখাটেরা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৬/৭ জন বখাটে ওই শিক্ষকের উপর হামলা করে।
ঘটনার শিকার শিক্ষকের নাম রাশিদুল ইসলাম। তিনি আলমডাঙ্গার তিওরবিলা হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম জানান, স্কুল শুরু এবং ছুটির সময় তারই স্কুলের সাবেক ছাত্র বখে যাওয়া সোহান আরও কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের প্রতিদিন উত্যক্ত করে। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি বখাটেদের মেয়েদের উত্যক্ত না করতে অনুরোধ করেন। এতে তারা রাশিদুল ইসলামকে গালমন্দ করে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম স্কুলে ফিরে বিষয়টি সহকর্মীদের জানালে তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেন। কিন্তু জিডি করলে আরও ক্ষিপ্ত হয় সোহানসহ অন্যান্য বখাটেরা। পরে মঙ্গলবার স্কুল শুরুর আগে থেকেই বখাটেরা স্কুলের গেটে অবস্থান নেয় এবং সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষক রাশিদুল স্কুলে ঢোকার সময় তার উপর হামলে পড়ে। সোহান ও তার সহযোগীরা রড ও লাঠি দিয়ে রাশিদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় আশেপাশে থাকা লোকজন বিষয়টি দেখলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি। তবে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ মোজাম্মেল নামে এক বখাটেকে আটক করে।
এ ঘটনার পর হতবিহ্বল হয়ে পড়েন শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম। এরপর তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে আলমডাঙ্গা থানায় গিয়ে সোহানসহ ৬ বখাটের নাম উল্লেখ করে আবারও অভিযোগ দায়ের করেন।
খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ লাল বলেন, ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রশাসন যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি আমি।
আলমডাঙ্গার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, লাঞ্ছিত শিক্ষক অভিযোগ দিয়েছেন। একজন আটক হয়েছে। অভিযুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।