জঙ্গি সংগঠনে জামায়াত আমিরের অর্থায়ন রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
<![CDATA[
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সমর্থন ও অর্থায়নের প্রমাণ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমির ডা. শফিকুরের সমর্থনেই তার ছেলে ডা. রাফাত নতুন ওই জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়েছেন। তার প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকজন সংগঠনটিতে প্রশিক্ষণও নেন।
কমিশনার বলেন, জেনেশুনে বিষয়টি সমর্থন ও তাকে অর্থায়ন করেন বাবা ডা. শফিকুর। তার অর্থ সাহায্যেই ছেলে অন্যদের সংগঠিত করছিল। এ অর্থায়নের কারণে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি।
আরও পড়ুন: জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামি আবার রিমান্ডে
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। অতীতেও আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদ দমন করে নিয়ন্ত্রণ করেছি। বিজয়ের মাসে বলতে চাই, আগামীতেও এই দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই দেশে কোনোভাবে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।জঙ্গি নির্মূলে পুলিশি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আদলতে জঙ্গি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, নজরদারিতে শুধু সেই দুজনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়িই আমরা তাদের গ্রেফতার করতে পারব। আর ওই ঘটনায় যাদের গাফলতি ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে আরও সতর্ক থাকা হবে।
নগরবাসির নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা হলে পুলিশ বসে থাকবে না এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ফর্মে জঙ্গিবাদ বিস্তারের চেষ্টা করেছে। তারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে। আমরা দেখেছি, এ দেশে ২০১২-১৩, ২০১৫-১৬ ও ২০০৫-০৬ সালে জঙ্গিবাদ উত্থানের চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেবে না পুলিশ।
]]>