জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেল চীনের সিনোফার্মের উৎপাদিত টিকা
বিশেষ প্রতিবেদন
শুক্রবার (৭ মে) সংস্থাটির প্রযুক্তি পরামর্শ গ্রুপ প্রথমবারের মতো চীনের এ টিকার অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে জাতিসংঘের কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে এ টিকার লাখ লাখ ডোজ পৌঁছানোর পথ তৈরি হয়েছে। চীনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহের মধ্যেই তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটির পরিচালক টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস বলেন, আজ বিকেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া করোনার টিকার তালিকায় সিনোভ্যাককে অন্তর্ভুক্ত করেছে। নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও মানের বিবেচনায় ষষ্ঠ টিকা হিসেবে এটি বৈধতা পেল।
বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রডাক্টসের অংশীদারিত্বে এই টিকা উৎপাদন করা হচ্ছে।
এই টিকার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চীনেই করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা হয়েছে অন্যান্য দেশে। চীনের উহান থেকে প্রথম করোনার প্রদুর্ভাব ঘটলেও দেশটিতে মহামারি এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া সিনোভ্যাকের জন্য বিজয় বলে অবহিত করা হয়েছে। তবে অনুমোদন পাওয়া নিয়ে এই কোম্পানির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। কিন্তু তাদের টিকা কার্যকারিতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ ছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রেড্রোস বলেন, তালিকা বেড়ে যাওয়ায় কোভ্যাক্স আরও টিকা কিনতে পারবে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে অনুমোদন এবং টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারবে।