বিনোদন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আফ্রিকান জনগণের জন্যে ‘জীবন্ত দুঃস্বপ্ন’

<![CDATA[

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সোমবার জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যকর প্রভাব আফ্রিকান জনগণের জন্যে ‘জীবন্ত দুঃস্বপ্ন’।

উইলিয়াম রুটো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যে দায়ী দূষণে আফ্রিকার দায় তিন শতাংশেরও কম। অথচ এখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গুরুতর। আফ্রিকার আলোচক দলের পক্ষে রুটো আরও বলেন, ক্ষয় এবং ক্ষতি অন্তহীন সংলাপের কোন বিমূর্ত বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এটি আমাদের নিত্য দিনের অভিজ্ঞতা এবং কেনিয়ার লাখো মানুষ ও আফ্রিকার কোটি কোটি লোকের জন্যে জীবন্ত দুঃস্বপ্ন। কেবলমাত্র এই বছরেই কেনিয়ায় ২৫ লাখ গবাদি পশু মারা গেছে। এ কারণে দেড়শো কোটি ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪০ বছরে সবচেয়ে ভয়ংকর খরা কেনিয়া ও বৃহত্তর আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলকে গ্রাস করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে অনাহারের হুমকিতে ফেলেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, মাত্র এক দশকের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে সোমালিয়া।

আরও পড়ুন: কতটা সফল হবে এবারের জলবায়ু সম্মেলন!

মিশরের শার্ম আল শেখে গত ৬ নভেম্বর জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কপ-টুয়েন্টি সেভেনের প্রেসিডেন্ট সামেহ শুকরি। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলো ধনী রাষ্ট্রের কাছে যে ক্ষতিপূরণ দাবি করছে তা এজেন্ডায় রয়েছে।

তিনি আরও জানান, জলবায়ু তহবিল গঠনে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে ঠিক, কিন্তু এবারের সম্মেলনে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তা মিলবে না। তবে উদ্বোধনী অধিবেশনে কপ-টুয়েন্টি সেভেনের কর্মকর্তারা ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সংকট এবং করোনা মহামারি সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১৯ শতকের শেষের দিকের স্তরের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখতে কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সাল নাগাদ ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত এক দশকে কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে ১০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন: আমিরাতে হবে ২০২৩-এর জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

মিশরে জলবায়ু সম্মেলনের দুই দিনের আলোচনায় প্রায় ১১০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নিচ্ছেন। তবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীনের নেতা শি জিন পিং সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না।

বিশ্বের দ্বিতীয় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যবর্তী নির্বাচন শেষে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকসহ এ সম্মেলন চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!