জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় রেকর্ড অর্থায়ন বিশ্বব্যাংকের
<![CDATA[
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। এ খাতে এই অর্থবছরে ৩১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি। এই খাতে বাংলাদেশেও নানা উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশগুলোকে সহায়তা করতে রেকর্ড ৩১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে এই খাতে ১৯ শতাংশ বেশি অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।
সংস্থাটির তথ্যমতে, বিশ্বব্যাংকের দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি) এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) যৌথভাবে ২৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে। এর প্রায় অর্ধেক ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিশেষভাবে অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাতের শাখা আইএফসি জলবায়ু অর্থায়নে ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে। অন্যান্য উৎস থেকে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন কী, কীভাবে ও কেন ঘটছে?
এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের আরেক সংস্থা মাল্টিলেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে।
এই ঋণ বাংলাদেশও পেয়েছে। যেমন রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন (রিভার) প্রকল্পের অধীনে বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। ১৪টি বন্যা উপদ্রুত (উপকূলীয় এলাকার বাইরে) জেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক উন্নতি সাধনের লক্ষে এই ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি। প্রকল্পের আওতায় ৫ শতাধিক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, সংযোগ সড়ক এবং জলবায়ু সহনশীল কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। স্বাভাবিক সময়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হবে। এসব কেন্দ্রে সৌরবিদ্যুৎ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সুবিধা থাকবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: ঝুঁকিতে এক কোটি ২০ লাখের বেশি শিশুর জীবন
উপকূলীয় এলাকার বাইরে ১৪টি জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এসব জেলা হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ।
]]>




