খেলা

জানুয়ারিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবাসী আয়

<![CDATA[

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে যখন নানা সমালোচনা; একই সঙ্গে ডলার সংকটের অজুহাতে দরকারি পণ্য আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারছে না বলেও দাবি করছেন আমদানিকারকরা; তখন এই সংকট মোকাবিলায় আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের প্রবাহ। গত মাসের পর চলতি মাসেও এই আয় বাড়বে–এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া তথ্য।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ ৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার। গত মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে যেভাবে রেমিট্যান্স এসেছে, মাসজুড়ে এই প্রবাহ থাকলে ২০২৩ সালের প্রথম মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে মোট ২২২ কোটি ২৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসবে।

দৈনিক গড় হিসাবে দেখা যাচ্ছে, চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৪০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার; অর্থাৎ দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার করে। এর পরের সাত দিনে এসেছে ৫২ কোটি ডলার। দৈনিক হিসাবে যার পরিমাণ ৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই পরিসংখ্যানের আশার দিক হলো, দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ।

আরও পড়ুন: শেষ হলো ব্যাংক ঋণের নয়-ছয় সুদহার

গত মাসের (ডিসেম্বর) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম দুদিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার; দৈনিক গড় হিসাবে যার পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এর পরের সাত দিনে এসেছিল ৪৭ কোটি ডলার। এ সময়ে গড়ে দৈনিক এসেছে ৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার করে। অর্থাৎ, গত বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহে যে গতি দেখা দিয়েছিল, তা জানুয়ারির প্রথম ৯ দিনের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

এর পরের ৭ দিন অর্থাৎ ১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রেমিট্যান্স আসে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এবার দৈনিক গড় হিসাবে প্রবাহ কমে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। পরের ৭ দিনে এই প্রবাহ আরও কমে আসে; ১৭ থেকে ২৩ ডিসেম্বর আসে ৩৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার। অবশ্য পরের ৮ দিনে আবার রেমিট্যান্স আসার গতি বাড়ে। দৈনিক গড়ে ৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার হিসাবে গত ডিসেম্বরের শেষ ৮ দিনে আসে ৪১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার।

গত বছরের নভেম্বরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের শুরুর অর্থাৎ জুলাইয়ের পর থেকে টানা কমতে কমতে নভেম্বরে এসে আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের পরিমাণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত জুলাইয়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর পরের মাসে কিছুটা কমে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসে মাসের ব্যবধানে এক লাফে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ওই মাসে মোট প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরেক দফা কমে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!