জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
<![CDATA[
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি উদ্বোধন করেন তিনি। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও সুমিটমো করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট মাসাইয়াকি হিওদো। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজসহ বেজা ও জাপানের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।
বেজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ১ হাজার একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি। এখানে এক সময় ছিল বিস্তীর্ণ জলাশয়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা ও জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপনের পর থেকে ভূমি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে জাপানের সুমিতমো করপোরেশন নামের প্রতিষ্ঠান। ইকোনমিক জোনটিতে বর্তমানে বিশাল এলাকাজুড়ে চলছে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ। প্রকল্প এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণের পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপনসহ অন্যান্য পরিষেবা উন্নয়নের কাজও চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে, গুজবে কান দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
এখানে বিনিয়োগ করতে জাপানের টয়োটা, মিতসুবিসি, মুমিতমো, তাওয়াকি, সুজোক লিমিটেডের মতো ৪০টি কোম্পানিসহ অন্যান্য দেশের আরও ১০টি নামিদামি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্পূর্ণ জাপানি প্রযুক্তিতে পরিবেশবান্ধব অটোমোবাইলস, অ্যাসেম্বলি, মোটরসাইকেল, সেলফোন, হ্যান্ডসেটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস ও গার্মেন্টস কারখানা স্থাপন করা হবে। দেশি-বিদেশি খাতে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, জাপানসহ অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আশা করছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম ধাপের ও পরের বছর দ্বিতীয় ধাপের উৎপাদন শুরু করবে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ইকোনমিক জোনটি পুরোপুরি চালু হলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি কাজের সুযোগ পাবেন স্থানীয়রাও।
]]>