বিনোদন

জাবিতে ফুটবল খেলায় গোল বিতর্ক, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৪০

<![CDATA[

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল খেলায় গোল বিতর্ক নিয়ে মওলানা ভাসানী ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুবায়েত হাসান ও ৪৮তম ব্যাচের রাসেল আকন্দ এবং মওলানা ভাসানী হলের ৫০তম ব্যাচের হৃদয়, রাব্বি, ৪৯তম ব্যাচের হুজায়ফা, নয়ন, ৪৬তম ব্যাচের নিবিড় ও নজরুল।

জানা গেছে, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হয় মওলানা ভাসানী হল এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হল। ৪০ মিনিটের এই খেলার ৩৭ মিনিট চলাকালে রেফারি কামালউদ্দিন হলের বিরুদ্ধে অফসাইডের বাঁশি দেন। এ সময় মওলানা ভাসানী হলের গোলপোস্টে বল ঢুকে যায়। এরপর কামালউদ্দিন হলের খেলোয়াড় এবং দর্শকেরা গোল উদযাপন করেন। কিন্তু মওলানা ভাসানী হল এই গোলের বিরোধিতা করে। একপর্যায়ে দুই দলের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সেখানে মিটমাট করে। এরপর খেলা বাকি রেখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজেদের হলের দিকে ফিরে এসে বটতলায় জমায়েত হয়। উল্লেখ্য, দুটি হলই বটতলা সংলগ্ন।  

একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রড, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। যা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। এসময় ৪ থেকে ৫টি গুলি ছোড়ার শব্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ তো ছিলোই।

আরও পড়ুন: তদন্তের আশ্বাসে অনশন ভাঙল রাবি শিক্ষার্থীরা

জাবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০ জনের মতো আহত শিক্ষার্থী মেডিকেলে এসেছে। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইটের আঘাতে মাথাসহ মুখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তারা।

এদিকে রাত ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ হেল কাফি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, আজকের সংঘর্ষ দুটি হলের মধ্য, এখানে কোন সংগঠন জড়িত না। পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আমরা আলোচনা করে সার্বিক ব্যবস্থা নেব। এ সময় তিনি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে বলেও জানান।

এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ হেল কাফি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করেছি। দুই হলের শিক্ষার্থীরা আপাতত হলে ফিরে গিয়েছে। সবাইকে নিয়ে বসে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।’

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বিকেল বেলা খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়ায়। আমরা হল দুটির সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’ 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!