জুলাই-ডিসেম্বরে ইইউতে পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে: বিজিএমইএ
<![CDATA[
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) দেশের পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে এ তথ্য গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের পোশাক রফতানি ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) আমদের প্রধান রফতানি বাজারগুলোর দিকে লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে, জার্মানিতে আমাদের রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে স্পেন এবং ফ্রান্সে আমাদের রফতানি যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বৃ্দ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার এবং ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে আমাদের রফতানি ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাক রফতানি ২০২২-২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে ৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যার প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়েরে তুলনায় মাত্র ১ দশমিক ১১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আমদানি-রফতানির নতুন দ্বার উন্মোচিত
একই সময়ে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রফতানি যথাক্রমে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং ৭৭৪ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
প্রচলিত বাজারগুলো ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পোশাক রফতানি আগের বছরের একই সময়ের মধ্যে ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে, জাপানে রফতানি ৪২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫৪ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভারতেও আমাদের রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ ৫৪৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার।
পরিসংখ্যানে প্রধান দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও চলতি অর্থবছরের আগের মাসগুলোর তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি আরও হ্রাস পেতে পারে।
]]>