জেসিন্ডার পদত্যাগের কারণ জানালেন হিপকিন্স
<![CDATA[
নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ক্রিস হিপকিন্সকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) নাম ঘোষণার অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ঘৃণ্য আচরণের শিকার হয়েছিলেন, তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা রোববার দলের নেতা হিসেবে ক্রিস হিপকিনসকে বেছে নেন। আগামী বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জেসিন্ডা আরডার্ন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন, একইদিন শপথ নেবেন হিপকিন্স।
নাম ঘোষণার পর নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ৪৪ বছর বয়সী হিপকিন্স জানান, তিনি দেশের স্বার্থে কাজ করে যাবেন। এসময় জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের পেছনে ঘৃণ্য আচরণকে দায়ী করেন তিনি। বলেন, ঘৃণ্য আচরণ থেকে তিনি তার পরিবারকে রক্ষা করবেন।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স
হিপকিন্স বলেন, জেসিন্ডা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্ব এবং কঠিন সব সিদ্ধান্তের কারণে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে নিউজিল্যান্ড বেশিরভাগ দেশের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে নেতৃত্বে থাকা নারীরা তাদের পুরুষ সমকক্ষের মতো যেনো একই সম্মান পান তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জেসিন্ডা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সম্প্রতি কয়েক বছরে জেসিন্ডা বেশ কয়েকবার হত্যার হুমকি পান। এক ব্যক্তি ইউটিউবে ভিডিওতে বলেন, রাজনৈতিক প্রতারণার কারণে জেসিন্ডাকে গুলি করে হত্যা করার অধিকার রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন
গত তিন বছরে জেসিন্ডার ওপর হুমকি তিনগুণ বেড়েছে বলে গত জুনে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়। তাকে আটটি হুমকি দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলা হয়। গত বছরের জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েকটি বাড়িতে জেসিন্ডাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি দিয়ে হাতে লেখা চিঠি ছড়িয়ে দেয়া হয়।
]]>




