‘জ্বালানিতে বাংলাদেশের জরুরি অবস্থা হলে চীন অলস বসে থাকবে না’
<![CDATA[
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, জ্বালানিতে বাংলাদেশের জরুরি অবস্থা হলে চীন অলস বসে থাকবে না। এ ব্যাপারে দুই দেশের কূটনীতিক পক্ষে কথাবার্তা চলছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘ডিকাব টক’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো। পশ্চিমা দেশগুলোর থেকে চীনের ঋণের হার কম। মুসলিমদের বিপক্ষে চীনের কোনো বিদ্বেষ নেই। কারণ, এখানে ২৫ মিলিয়ন উইঘুর রয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমা গণমাধ্যম এ নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে আন্তরিক। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে চীনের প্রধান আগ্রহ ফেরত প্রক্রিয়াতেই, চীন মোটেও মিয়ানমারের পক্ষে কাজ করছে না। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে, মিয়ানমার ছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরানো সম্ভব হবে না, যতই আন্তর্জাতিক চাপ থাকুক। প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের জন্য সব সুবিধা নিশ্চিতের চেয়ে প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত বাংলাদেশকে।
আরও পড়ুন: চীন-ভারতের ভালোবাসায় বাংলাদেশ
লি জিমিং বলেন, চীন বাংলাদেশে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ লক্ষ্যে চীন কাজ করে যাচ্ছে। চীনের সহায়তায় নির্মিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির, এর ফলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না।
চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, চীন বর্তমানে পরিবেশবান্ধব এনার্জিতে ঝুঁকছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা-বেইজিং। জ্বালানিতে বাংলাদেশের জরুরি অবস্থা হলে চীন অলস বসে থাকবে না। এ ব্যাপারে দুই দেশের কূটনীতিক পক্ষে কথাবার্তা চলছে।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমাধানের চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করে চীন। পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ হবে না বলেও মন্তব্য চীনা রাষ্ট্রদূতের।
এ ছাড়া সিত্রাং-এর আঘাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান রাষ্ট্রদূত।
]]>