ঝালকাঠিতে সিত্রাংয়ের তাণ্ডব, ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষক
<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝালকাঠিতে টানা বৃষ্টিপাত ও বাতাসে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে জেলার প্রায় সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলেও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে জেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।
সিত্রাং উপকূল অতিক্রমের পর রাত ৩টা থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হরে। তবে সকাল থেকেই তাণ্ডবের চিহ্ন স্পষ্ট হয়। গাছপালা উপড়ে পড়েছে পথে পথে। বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের আঘাতে গাছচাপায় সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামে ৪টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে পাকা আমন ধান। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: উত্তাল ঢেউয়ে তছনছ কক্সবাজার সৈকত
এ ছাড়া বৃষ্টি আর জলোচ্ছ্বাসের কারণে নদীপারের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। অপরদিকে সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। পানি ঢুকে অনেকের বসতঘরের মালামাল নষ্ট হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। মাছের ঘের থেকে মাছ ভেসে গেছে। কৃষিরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা করছি।’
]]>