ঝিনাইদহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দেখা মেলেনি সূর্যের
<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝিনাইদহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ভোরে কিছুটা কমে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে এরপর শুরু হয় আবার টানা বৃষ্টি। সকাল থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের।
টানা বৃষ্টি হওয়ায় সড়ক-মহাসড়কে মানুষের চলাচল কমেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা বের হচ্ছে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি কারণে অনেককেই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। বেশি সমস্যা পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগ। কাজ না পাওয়া অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে।
শহরের পায়রা চত্বরে রিকশাচালক আশাদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি কিন্তু ভাড়া হচ্ছে না। দু-একটা ভাড়া হচ্ছে। লোকজনই নেই, ভাড়া কীভাবে হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও উত্তরে, বাড়ছে শঙ্কা
চা দোকানি মানিক মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা খুবই কম। শহরে মানুষ কম আসছে, তো বিক্রি কী করে হবে।
সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকা থেকে আসা মাহফুজ মিয়া বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যাচ্ছিল না। তবু জরুরি কাজ থাকায় আসতে হলো। বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। টানা বৃষ্টি হচ্ছে বলে ভোগান্তিটা একটু বেশি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।
তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৬ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাব মোকাবিলায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের প্রত্যেক ইউএনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সার্বিকভাবে আমাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
]]>