টাঙ্গাইলে ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত
<![CDATA[
আবহাওয়া পরিবর্তনে টাঙ্গাইলে বাড়ছে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ। হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা ও জনবল না থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা। একই বেডে চারজন শিশুকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা।
উত্তরের জেলাগুলোর সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলেও বেশ কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন বয়সী মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে শিশু রোগীর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। আর পর্যাপ্ত বেড না থাকায় একই বেডে একাধিক রোগীকে থাকতে দেয়া হয়েছে। তাতেও সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় থাকতে হচ্ছে শিশুদের। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না তারা।
এদিকে মাত্রাতিরিক্ত রোগী ও মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি আরেকটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করেছে। কলেজটির কাজ দীর্ঘদিন আগে শেষ হলেও অদৃশ্য কারণে তা চালু হচ্ছে না। ফলে এই শীতে নোংরা পরিবেশে বারান্দায় থাকতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি ও ভোগান্তি কমাতে অতিদ্রুত মেডিকেল কলেজটি চালুর দাবি রোগী ও স্বজনদের।
আরও পড়ুন: যশোর হাসপাতালে শয্যা সংকট, ভোগান্তি
হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্সরা জানান, শীতজনিত রোগে প্রতিদিন যে পরিমাণ শিশু ভর্তি হচ্ছে, তা ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি। ফলে সেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পর্যাপ্ত সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। মেডিকেল কলেজটি চালু হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
মেডিকেল কলেজের নির্মাণকাজ হলেও কেন চালু হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে শুনে আসছি দ্রুতই চালু হবে। কিন্তু কেন চালু হচ্ছে না, এর সঠিক ব্যাখ্যা জানা নেই। তবে যত দ্রুত সম্ভব মেডিকেল কলেজ চালু করা প্রয়োজন, নাহয় এ ভোগান্তির ইতি ঘটবে না।’
]]>




