খেলা

টুইটার সদর দফতরে মাস্কবিরোধী প্রচারণা

<![CDATA[

ইলন মাস্কের সাম্প্রতিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে টুইটার সদর দফতরের ডিজিটাল ওয়ালে মাস্কবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানকর্মীর কর্মীরা। এতে মাস্ককে অযোগ্য বিলিয়নিয়ার ও লোভীর পাশাপাশি বর্ণবাদী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে নানা মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে টুইটারের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির পতনের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের সাম্প্রতিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় অবস্থিত টুইটারের সদর দফতরের ডিজিটাল ওয়ালে হঠাৎই ভেসে ওঠে অসংখ্য মাস্কবিরোধী বক্তব্য। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির নতুন মালিককে কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়।

শুধু তাই নয়, ডিজিটাল ওয়ালে ভেসে ওঠা বক্তব্যে ইলন মাস্ককে অযোগ্য বিলিয়নিয়ার, লোভী, বর্ণবাদী এমনকি একনায়ক হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি থেকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হওয়া কর্মীদের একটি অংশ ডিজিটাল ওয়ালে ওই বক্তব্য জুড়ে দেয়ার মাধ্যমে ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জমানো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

খোদ টুইটার সদর দফতরে এমন মাস্কবিরোধী প্রচারণা নিয়ে এরই মধ্যে নানা মহলে তৈরি হয়েছে আলোচনা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

আরও পড়ুন: টুইটার অফিস সাময়িক বন্ধ

বিশ্লেষকরা বলছেন, টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই ইলন মাস্কের কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণেই এর কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির সম্পূর্ণ নতুনরূপে আবির্ভাবের পরিবর্তে এর পতনের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ক্যাসি ফিয়েসলার বলেন, “আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না মাস্কের মাথায় আসলে কী ধরনের চিন্তা কাজ করছে। আমি ভাবতেও চাই না। অনেকেই বলছেন তিনি দ্বিমুখী আচরণ করছেন, আর সেটি হয়ে থাকলে বিষয়টি মোটেও টুইটারের জন্য মঙ্গলজনক নয়। একটি প্রতিষ্ঠানের পতন এক দিনে হয় না। প্রতিষ্ঠানটি থেকে যেভাবে কর্মীরা চলে যাচ্ছেন, তাতে অদূর ভবিষ্যতে এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, টুইটারকে তার আগের রূপে আর কখনোই দেখা যাবে না–এটা মোটামুটি নিশ্চিত।’

আরও পড়ুন: টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ছড়িয়ে পড়ায় আট ডলারের ‘ব্লু টিক’ কেনা স্থগিত

এর আগে, অতিরিক্ত সময়ে কাজ না করলে বরখাস্তের হুমকি দিয়ে টুইটারকর্মীদের ই-মেইল বার্তা পাঠান ইলন মাস্ক। তার ওই হুমকির জেরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে গণহারে পদত্যাগ শুরু করেন এর কর্মীরা। যদিও, বিষয়টি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন উল্লেখ করে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত টুইটারের সব কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন এর নতুন মালিক ইলন মাস্ক।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!