ঠাকুরগাঁওয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
<![CDATA[
অস্ত্র ঠেকিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলাটি করেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
মামলার আসামিরা হলেন- বাবলুর রহমান, আসলাম আলী ও আবু তালেব। এদের মধ্যে বাবলুর রহমান ওই উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বেলছাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আর বাকি দুইজন একই ইউনিয়নের বোবড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলাটি করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: দুলাভাইয়ের প্রেমের ফাঁদে পড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ছাত্রী
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেলছাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জেলা শহরের আসার উদ্দেশে রওনা হন নবম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মোড় থেকে একটি থ্রি-হুইলারে উঠার পর তার পাশে চেঁপে বসেন কয়েক দুর্বৃত্ত।
চলন্ত যানবাহনে মেয়েটিকে ছুরি ঠেকিয়ে শহর ঘুরে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন জায়গায়। পরে সেখানে শারীরিক নির্যানের পর পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। ধর্ষণ শেষে জেলা সদরের ওরাউপাড়া এলাকার আখ খামারের একটি রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন করে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার তিনদিন পর থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়।
]]>