ডলফিন সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
<![CDATA[
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ডলফিন থাকলে জলের প্রতিবেশ ভালো থাকে এবং মাছের বংশ বৃদ্ধির পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই ডলফিন সংরক্ষণে সরকার নিরলস ও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশের ডলফিন সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকার ডলফিন অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করেছে এবং নয়টি ডলফিন অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে। দেশের নদী ও জলজ প্রতিবেশ ভালো রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ডলফিন রক্ষা করতে হবে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ‘শুশুক ডলফিন রক্ষা করি, জলজ প্রতিবেশ ভালো রাখি’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস-২০২২ উপলক্ষে বন অধিদফতরে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ডলফিন হত্যা রোধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এ তিমি বা ডলফিন হত্যার জন্য সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। এ আইনের প্রয়োগ করা হচ্ছে। ডলফিন সংরক্ষণের জন্য বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এলাকার ১ হাজার ৭৩৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। ডলফিন সংরক্ষণে জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ডলফিন মেলা আয়োজনসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং কমিউনিটিভিত্তিক ডলফিন সম্পর্কিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: খাদ্য সংকট নিয়ে যা জানালেন মন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের কার্যক্রমের ফলে সুন্দরবনে ডলফিনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্য-ঢাংমারী, দুধমুখী ও চাঁদপাই-তে এ বৃদ্ধির হার ৫৫ শতাংশ, যা দেশের ডলফিন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, মিঠা পানির ডলফিন সংরক্ষণের কাজ শুধু সরকার, বন বিভাগ বা কোনো সংস্থার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই সবার প্রতি আমাদের দেশের ডলফিনসমূহ রক্ষার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।
বন অধিদফতরের প্রধান বনসংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, আইইউসিএন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমিন। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, সিলেট-এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ। স্বাগত বক্তব্য দেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।
]]>




