বিনোদন

ডিসেম্বরেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ

<![CDATA[

সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বোধনের প্রায় আট মাস পেরোলেও জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়নি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে কেন্দ্রটি। কর্তৃপক্ষের আশা, ডিসেম্বরেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বিদ্যুৎ।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে প্রথম ফেজে নির্মাণ করা হয় কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। চলতি বছরের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু সঞ্চালন লাইনের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় উদ্বোধনের আট মাস পার হলেও জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মার ওপর দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাইন টানাতে একটু সময় বেশি লাগছে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই কাজ শেষ হবে। এরপর গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার সাবস্টেশন হয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তারিক নূর বলেন, ‘পদ্মার ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন টানা অনেকটা জটিল ছিল। তবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঞ্চালন লাইন টানতে সফল হয়েছি। ডিসেম্বরের শেষদিকে কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। এরপর গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব। সেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।’

এদিকে কেন্দ্রটির পাশেই দ্বিতীয় ফেজে নির্মাণ করা হচ্ছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০২৫ সালের মধ্যেই শেষ হবে এটির কাজ।

আরও পড়ুন: সফল বাস্তবায়নের পথে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, দ্বিতীয় ফেজে নতুন করে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে। এরই মধ্যে ২৫ ভাগ কাজ হয়েছে।  আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই কেন্দ্রটির কাজও শেষ হবে। এরপর পায়রা থেকে মোট ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।

তাপবিদ্যুতে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বলে জানান বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  এ এম খোরশেদুল আলম।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কাজ করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানকার বিদ্যুৎ দিয়ে শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, বাংলাদেশের বিদ্যুতের বিপুল চাহিদার এক দশমাংশ পূরণ হবে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পকারখানা ও উন্নয়নে যে আশা করা হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে কেন্দ্রটি।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!