খেলা

ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যুর কারণ জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

<![CDATA[

দেরি করে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে বেশি ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নেপাল ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কারণ মানুষের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। এ ছাড়াও রোগীরা হাসপাতালে দেরি করে আসছে। দেখা যাচ্ছে রোগী যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তখন অনেকে মনে করছেন সর্দি জ্বর হচ্ছে। সেটা ভেবে অনেক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, এতে রোগী সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। হেমোরেজিক একটা ভাইরাসে আছে ডেঙ্গুর যা ইন্টারনাল ব্লেডিং করে, সেটা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো কষ্ট হয়ে যায়। ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মধ্যে রোগী মারা গেছে ৭২ শতাংশ। যারা দীর্ঘ সময় থাকতে পেরেছে তারা কিন্তু বেঁচে গেছে। যারা আসার তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন তারা সিরিয়াস কন্ডিশনে আসছে। সেদিকে সবার সচেতন থাকতে হবে, যাতে জ্বর হলে পরীক্ষাটা করে নেয়া হয়। ডেঙ্গু হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।

দেশে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুহার বেড়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গু বেড়ে গিয়েছিল। এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তার মধ্যে ৩৬ হাজারই ঢাকায়, তাও সিটি করপোরেশন এরিয়ায়। সিটি করপোরেশেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী।’

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রীও রক্ষা পাচ্ছেন না মশার উৎপাত থেকে

তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে লোকও বেশি বাস করে। এখানে অনেক ড্রেনেজ সিস্টেম আছে। অনেক রকমের পানি জমে আছে, সেটাও বেশি। ঘরবাড়িও বেশি, যেখানে আবর্জনা ও পানি জমে থাকে, কনস্ট্রাকশন অনেক বেশি। সব জায়গায় স্প্রে করা প্রয়োজন। স্প্রে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা করে থাকে। তারপরও দেখা গেল মশা অনেক বেড়েছে। এতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। আমরা বারিধারা থাকি, সেখানেও অনেক মশা। সার্বক্ষনিক স্প্রে করলেও দেখি মশা দূর হয় না। সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুর জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের নেয়ার কথা অর্থাৎ হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখা, আমরা কিন্তু সেই ব্যবস্থা রেখেছিলাম। হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগীতে ভরা ছিল। প্রত্যেক দিন প্রায় ১ হাজার রোগী আমরা পেতাম। সেই ১ হাজার রোগীকে আমাদের রাখতে হয়েছে, চিকিৎসা দিতে হয়েছে।’

‘কেউই বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে যায়নি। আশার বিষয় হলো রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। আগে এক হাজার রোগী প্রতিদিন আমরা পেয়েছি, আজ চারশ’ রোগী ভর্তি হয়েছে। তাতে অর্ধেরকেরও বেশি কমেছে। মৃত্যুর হারও কমেছে। গতকাল তিনজন মারা গেছে। তার আগে কয়েকদিন কোনো মৃত্যু হয়নি,’ যোগ করেন জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেন, স্প্রে যথেষ্ট দেয়ার পরও যখন মশা এতো বাড়ে তখন অনেক সময় মনে হয়, এই ওষুধটা মশার জন্য কার্যকর হয়নি। বা মানুষের শরীরে যেভাবে অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে, মশারও তেমন অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে।

তিনি জানান, গ্রামে কিন্তু এতো মশা নেই, ঢাকা শহরে এটা বেশি। তাই ঢাকা শহর অন্যান্য সিটি করপোরেশনগুলোতে যদি বেশি নজরদারি করা হয় তাহলে হয়তো আগামীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমবে। আশা করি, সামনে ভালো ওষুধ যথা সময়ে দেয়া হবে।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!