বিনোদন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত নীতিমালা করা হচ্ছে: তাজুল ইসলাম

<![CDATA[

ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশা নিধনের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত নীতিমালা (ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর পলিসি) করা হচ্ছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের সপ্তম ও শেষ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থার তথ‌্য অনুযায়ী, প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে ৭ লাখ মানুষ মারা যায়। ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশের সমস‌্যা নয়, সারা পৃথিবীর সমস‌্যা।’

আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার এবার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে সফলতা অর্জন করতে পারেনি স্বীকার করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিন্তু আমরা যদি সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল‌্যান্ড ও ভারতের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে আমরা ভালো করেছি। আমরা এটা নিয়ে এখনও কাজ করছি।’

আরও পড়ুন: ঢাকায় মশক নিধন ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন পরিকল্পনা

তিনি বলেন, ‘আগে এটা (ডেঙ্গু) শুধু ঢাকায়ই ছিল। এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম নেয়ার জন‌্য সমন্বিত ভেক্টর ম‌্যানেজমেন্ট নীতিমালার খসড়া করেছি। এটা আমরা তাদের দেব। গবেষণার মাধ‌্যমে ভেক্টরকে কীভাবে ম‌্যানেজ করা সম্ভব বিদেশ থেকে সেই তথ‌্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি।’

উপজেলায় যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়, সেগুলো যাতে উপজেলা পরিষদের অধীনে বাস্তবায়ন হয়, এ বিষয়ে ডিসিরা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই বিষয়ে আপনারা একমত পোষণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একমত পোষণ করি। এখানে কোনো কনফ্লিক্ট (দ্বন্দ্ব) আছে বলে আমার জানা নেই। উপজেলা পরিষদে তো সবকিছু আলোচনা হয়েই সিদ্ধান্ত হয়। এটা যারা বলছেন, আমার মনে হয়, এটা তারা না জেনে কথা বলছেন।’

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জন হাসাপাতালে ভর্তি

জেলা প্রশাসকরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো সমন্বয়হীনতার কথা বলেননি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তবে দুটি প্রতিষ্ঠানের দুজন ব‌্যক্তি যখন একই লক্ষ‌্যমাত্রায় পৌঁছার জন‌্য কাজ করে তখন দেখা যায় কখনও কখনও তাদের মধ‌্যে ধারণাগত দ্বন্দ্ব হয়। সেটা আবার সময়মতো ঠিক করেও নেয়া হয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রেও হয়। এটা দ্বন্দ্ব নয়, এটা ধারণাগত পার্থক‌্য।’

গ্রামে-গঞ্জে অনেক অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ দুঃখজনক। যেখানে অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা হয়েছে, সেটার জন‌্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ‌্যতে কোনো অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ হবে, এটা আমরা আশা করতে পারি না। আমাদের পক্ষ থেকে যেসব সতর্কতা নেয়া দরকার আমরা নিচ্ছি।’

আরও পড়ুন: উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিকল্পিত নগরায়ন আবশ্যক: তাজুল ইসলাম

উপজেলা পর্যায়েও মাস্টারপ্ল‌্যান হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!