ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যু কমাতে মশা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
<![CDATA[
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু কমাতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে এবং সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তবে এবারে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী দেখা যাচ্ছে।
মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে এ বছর এ পর্যন্ত ৯৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৫৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে চলতি বছর মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৩৮ জনে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৮৫৭ জন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ৩ হাজার ৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন ৯৮৯ জন।
ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি আসছে মিরপুর, উত্তরা ও মুগদা এলাকা থেকে। সেইসাথে ধানমন্ডি ও যাত্রাবাড়ী এলাকাকেও ডেঙ্গুর হটস্পট বলা হচ্ছে। ঢাকায় এই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ মূলত দুই সিটি করপোরেশনের।
এডিস মশা প্রজননের এই সময়কে সামনে রেখে ঢাকা সিটি করপোরেশেনের পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা অভিযান পরিচালনা সহ মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, স্টিকার লাগনো, টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেয়া, ইমামের মাধ্যমে মসজিদে প্রচার ছাড়াও ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে দাবি সিটি করপোরেশেনের কর্মকর্তাদের। তবুও কিছু মানুষেরে অসচেতনতা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়াচ্ছে বলে জানান তারা।
]]>




