ড্রোন হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাবের প্রতিষ্ঠাতা নেতা নিহত
<![CDATA[
সোমালিয়ায় সেনা অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব নেতা আবদুল্লাহ নাদির নিহত হয়েছেন। রোববার (২ অক্টোবর) দেশটির সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় এক অভিযানে আল শাবাবের সহপ্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ নাদিরকে হত্যা করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
বহুদিন ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠী আল শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে আফ্রিকার এ দেশটির সেনারা। খবরে বলা হয়, শনিবার (১ অক্টোবর) দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর হারামকায় পরিচালিত এক ড্রোন হামলায় নিহত হন আবদুল্লাহ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আবদুল্লাহ ছিলেন আল-শাবারের প্রধান সমন্বয়ক। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আবদুল্লাহি ইয়ারির উত্তরসূরী। ইয়ারি বর্তমানে অসুস্থ। তার জায়গার আবদুল্লাহর নেতা হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় আল-শাবাবের হামলায় নিহত ১৯
সোমালিয়া সরকারের বিৃবতিতেতে আরও বলা হয়, ‘তার মৃত্যুতে সোমালি জাতির পথের একটি কাটা দূর হলো। জাতির শত্রুকে হত্যায় সহযোগিতার জন্য সোমালি জনগণ ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
সোমালিয়ায় ২০০০ সালে গঠিত হয় জঙ্গি গোষ্ঠী ‘হারকাত আশ শাবাব আল মুজাহিদিন’। সোমালিয়ার আহমেদ দিরিয়ে এই গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা। এর পাঁচ বছর পর ২০০৫ সাল থেকে দেশটিতে পুরোদমে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সোমালিয়ার পাশাপাশি পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও গোষ্ঠীটির কার্যক্রম বিস্তার লাভ করেছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডাকাতি, লুটপাট, হত্যা, বোমা হামলা, আত্মঘাতী বোমা হামলা, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, নারী ও কিশোরীদের অপহরণ করে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়াসহ অসংখ্য অপরাধে সংশ্লিষ্টতার গুরুতর অভিযোগ ছিল গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: আল কায়েদা নেতাকে রকেট ছুড়ে হত্যা করল যুক্তরাষ্ট্র
পরে ২০১২ সালে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদার সঙ্গে মিশে যায় এই গোষ্ঠীটি এবং আল-শাবাব নামে পরিচিতি পায়। ওই বছরই এশিয়া ও আফিকা মহাদেশের সাত জঙ্গিনেতাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকাভূক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
]]>




